চিত্রনায়িকা পরীমনির এত রাতে বোট ক্লাবে না গেলে তার সঙ্গে খারাপ ঘটনাটি ঘটতো না। এজন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর মনে করেন এত রাতে পরীমনি সেখানে না গেলেও পারতেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি অফিসের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরীমনি এত রাতে ক্লাবে গিয়েছিলেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিশা বলেন, ‘দেখুন ১৮ বছরের পর সন্তানের ওপর পিতার কোনো কর্তৃত্ব থাকে না। রাতে সিভিলিয়ান ক্লাবে গেলে দোষ না হলে, পরীমনি গেলে দোষ হবে কেন? ক্লাব খোলা আছে কেন? তাহলে ক্লাব কালচারটা উঠিয়ে দেন। ক্লাব খোলা থাকলে ৮ থেকে ১০ জন সিভিলিয়ান যায় তাহলে একজন আর্টিস্ট গেলে সমস্যাটা কী? আমি নিরপেক্ষভাবে বলবো যে পরীমনি যে অবস্থানের নায়িকা সেখান থেকে যদি ছবির সাইনিংয়ের ব্যাপার হয় তাহলে বাসায় হলে ভালো হতো।’
আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, পরীমনি মিথ্যা বলেছেন। পরী মদ্যপ অবস্থায় ক্লাবে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে মিশার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি কী বলেছেন সে বিষয়ে আমি তো কিছু বলতে পারবো না। দেশে বিচারব্যবস্থা আছে, এটা দেখার লোক আছে। পরীমনি কী অবস্থায় ছিল, যে ক্লাবে গিয়ে ছিলেন সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ থাকার কথা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তিনি বললে তো হবে না। তারা পরীকেও জিজ্ঞেস করবেন। যেটা সত্য সেটাই বেরিয়ে আসুক। মিথ্যা কোনো কিছু না আসুক। আমার ছেলেও যদি অন্যায় করে আমি কী তার পক্ষে যাবো নাকি? বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে বাস করি। দেশের একটা কালচার আছে, সেই কালচারকে আমি সম্মান করবো। দেশের সব ধর্মের মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয় আছে। সেই সন্বয়কে সম্মান করবো। দেশকে সুস্থভাবে পরিচালনা করার প্রতিনিধি আমরা, আমরা উগ্রতা থেকে দূরে থাকি এটা আমার মূল কথা।’ গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চারদিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাভার থানায় একটি মামলা হয়। গতকাল সোমবার গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজন। ওই সময় তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নামে বিমানবন্দর থানায় মাদক মামলা হয়।