পাট একটি অর্থকরী ফসল। দেশ-বিদেশে পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।বাংলাদেশ পাট রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। তাই পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়।এছারা বাংলাদেশের পাট পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম।বাংলাদেশের জলবায়ু ও মাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো পাট জন্মে।কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর ও নওগাঁ জেলায় পাটের উৎপাদন খুব বেশি হয়।এদিক থেকে জলঢাকা উপজেলার কৃষকেরা থেমে নেই।গত মৌসুমে দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষে বেশি আগ্রহী দেখা যাচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে।উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, গোলমুন্ডা, বালাগ্রাম গোলনা, ধর্মপাল, শিমুল বাড়ী, মীরগঞ্জ, কাঁঠালী খুটামারা, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ জমিতে কম বেশি সবাই পাঠ রোপণ করেছেন। ইতিমধ্যে সব এলাকার জমিতে পাট ৫/৬ ফুট লম্বা হয়েছে।কিছুদিনের মধ্যে পাট পরিপক্ক হলে কৃষকেরা পাট কাঁটতে শুরু করবে।কৃষকেরা মনে করেন জমিতে যে রকম ভাবে পাট গাছ দাঁড়িয়ে আছে তাতে পাটের বাম্পার ফলনের আশা করি ।গত বছর পাটের যে দাম পেয়েছি তাতে লাভের মুখ দেখছেন বলে জানিয়েছেন পাট চাষিরা।উত্তর চেরেঙ্গা ডাকুর ডাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড গ্রামের পাট চাষী আব্দুল মান্নান(৫৫) দেড় বিঘা,ওলিয়ার হোসেন(৩৫) ১ বিঘা,আফজাল হোসেন(৫০) ১ বিঘা, মমিনুর হোসেন(৩৫) ১ বিঘা করে পাঠ রোপন করেছেন বর্তমানে ভালো পাট জন্মেছে।দাম ভালো পেলে খুশি হব। এছাড়া পাটের সব কিছুই কাজে লাগে।পাট থেকে যেমন আশ পাওয়া যায় তেমনি পাটের খরি দিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন খবর পত্র কে বলেন,চলতি বছর আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ শ হেক্টর জমি, পাটের বীজ বপন হয়েছে ১২ শত ২৫ হেক্টর জমিতে,উৎপাদন ৩৬ শত মেট্রিক টন কৃষকের আগ্রহ আর আমাদের প্রচেষ্টায় এজকের এ অবস্থান। এ ছাড়া গত বছর পাটচাষীরা পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর চাষীরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। এ বছর দাম ভালো পেলে কৃষকের উপকৃত হবে।