প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫০ হাজার ৮৫৮ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
মহামারী কোভিড ১৯-এ মৃত্যুর মিছিল থামছে না। লাশের সারি দীর্ঘ হতে হতে পৃথিবীটাই যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। করোনায় প্রাণহানি ২ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
কোভিড ১৯-এ প্রাণহানি ও অসুস্থদের পরিসংখ্যান রাখার আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮০ জন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১১ লাখ ৮ হাজার ৮২২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব চীনে শুরু হলেও এতে বিপর্যস্ত হওয়ার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মহামারী করোনাভাইরাস। সেখানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ২৮৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৩১০ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছেও নেই কোনো দেশ।
করোনায় মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় ইতালি। দেশটিতে ২৮ হাজার ৭১০ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। ইতালিতে একদিনে ৪৭৪ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। গত ২১ এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিনে এতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ২ লাখ ৯ হাজার ৩২৮ জন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৬২১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ১৩১ জনে। আর এর মাধ্যমে করোনায় বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছে দেশটি। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে।
২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে ২৫ হাজার ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্স। এ পর্যন্ত দেশটির ২৪ হাজার ৭৬০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৬ জন। তবে আগের তুলনায় দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক নথি প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে ১০২টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে আটটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রথম সাতটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল) করা হয়েছে। নতুন করে নথিভুক্ত হওয়া চীনের ওই ভ্যাকসিন এখনও মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই অঙ্গ সংস্থাটি।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।ৎ
এমআর/প্রিন্স