ঘুম ভাঙ্গার পর অনেকেই সতেজ অনুভব করেন না। এমন অনেকেই আছেন যারা এক ধরনের অস্বস্তি নিয়ে চোখ খোলেন। ঘুম ভাঙতেই দেখা দেয় তীব্র মাথা ব্যথা, চোখে যন্ত্রণা। যাদের মাইগ্রেন ও হাইপারটেনশন আছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা এমন সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় এই যন্ত্রণা নিয়ে অফিস করা কিংবা ঘর সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুম থেকে ওঠার পর হঠাৎই এই মাথা ব্যথার কিছু কারণ রয়েছে। তাই এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাথা ব্যথার সম্ভাব্য কিছু কারণ-
স্লিপ অ্যাপনেয়া: স্লিপ অ্যাপনেয়ার সমস্যা থাকলে ঘুমের ভেতরেই শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে থাকে। এছাড়াও নাক ডাকা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঘুমের মধ্যেই বারবার প্রস্রাব পাওয়া স্লিপ অ্যাপনেয়ার উপসর্গ। এই সমস্যার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। যে কারণে সকাল থেকেই শুরু হয় মাথা ব্যথা।
মাইগ্রেন: সকালে মাথা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মাইগ্রেন। বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেন নামক যন্ত্রণার শিকার। মাইগ্রেন থাকলে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে থাকে। এছাড়া ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধ। বিশেষ করে সকালে ঘুম ভাঙার পরে এই যন্ত্রণা শুরু হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এর উপসর্গ একরকম না। বরং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
হ্যাংওভার: মদ্যপান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এর কারণে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। রাতের বেলা মদ্যপান করলে পরদিন সকালে মাথা ব্যথা হতে পারে। রাতে বারবার তৃষ্ণা পাওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ক্লান্তি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে হ্যাংওভারের কারণে।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা: ঠান্ডাজনিত মাথাব্যথা আর প্রায়ই মাথাব্যথায় ভুগতে থাকার মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে। মাথা ব্যথার পাশাপাশি চোখে অস্পষ্ট দেখা কিংবা চোখ থেকে পানি পড়ার সমস্যা থাকলে সতর্ক হোন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্নায়ুগত সমস্যা থাকলে: মস্তিষ্কের স্নায়ুগত কোনো সমস্যা থাকলেও দেখা দিতে পারে সকালে মাথাব্যথার সমস্যা। এমনটা হলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখাও অস্বাভাবিক নয়। মাথা ব্যথার পাশাপাশি ঘাড়ে ব্যথা, গা গোলানো বা বমি ইত্যাদিও হতে পারে। তবে এসব উপসর্গ মাইগ্রেনের সঙ্গে মিলে যায়। মাথার পেছন দিকে ঘন ঘন অসহ্য ব্যথা হলে তা টিউমারের লক্ষণও হতে পারে। মাঝে মাঝেই এমন মাথাব্যথা হলে সতর্ক হতে হবে। মাথাব্যথার ধরন ও কতক্ষণ স্থায়ী হয় তার ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে কোনো ধরনের ওষুধ খাবেন না। একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কারও পরামর্শে ওষুধ খাবেন না। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।