প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় প্রতিবছর প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে। তবে এবার করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে পিইসি পরীক্ষাও বাতিলের চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গণমাধ্যমকে মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষক-অভিভাবকরা জানান, করোনার কারণে চতুর্থ শ্রেণি অটো পাসের মধ্য দিয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এবার যদি পিইসি ও অটো পাস দিয়ে দেওয়া হয় তবে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের কিছুই শিখল না শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) রতন চন্দ্র প-িত বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও পিইসি-সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে গত বছরের মতো অটো পাস দিতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দিতে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। তাতে অনুমোদন দেয়া হলে গত বছরের মতো পঞ্চম শ্রেণির সকল পরীক্ষার্থীকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে তুলে সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও নানা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাসার কাজ ওয়ার্কশীটে পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। সপ্তাহ শেষে সেগুলো জমা নিয়ে মূল্যায়ন করছেন। আমাদের হাতে এখনো সময় রয়েছে। আশা করি দ্রুত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, দ্রুত আমরা বিদ্যালয় খুলে পাঠদান শুরু করতে পারবো। বিদ্যালয় খুলতে আমরা প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষা করছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পিইসি বাতিল হলে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষাও নেয়া হবে না। তবে প্রাথমিক-স্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় সিদ্ধান্তটি এখনো নিতে পারেনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নাম না প্রকাশের শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে দু/একদিনের মধ্যে ওই মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। যদি তারা সিদ্ধান্ত জানায় তাহলে এই পরীক্ষাও হবে না।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষা বাতিল হলে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আর স্কুল খোলা সম্ভব হলে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ক্লাসরুমেই পড়ানো হবে। এভাবে তাদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করা হবে। মূলত অটো পাস না দেয়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।