জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মাদক চোরাকারবারীরা বেপরোয়া উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা ও উত্তর গোপালপুর গ্রামের চিহিৃত কিছু মাদক ব্যবসায়ী ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও ফেন্সিডিল হাতে নিয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় তা মহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। অপরদিকে প্রশাসন বলছে, যত দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। রোববার সকালে খোর্দ্দা গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত দিলদার হোসেন(২৩) তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে ফেনসিডিলের সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করেন। এর একদিন পরেই উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর গোপালাপুরের মাদক ব্যবসায়ী আলী শাহ ও মোঃ নাজমূল হোসেন খান নামের দুটি ফেসবুক আইডি থেকে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের বোতল হাতে এবং মদ পান করার সেলফি ও ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে ঐ গ্রামের বাঘামিয়া ও মিনারুল নামের দু’জনকেও মদের বোতল হাতে সেলফি তুলতে দেখা গেছে। এমন ছবি সাবিনা ইয়াসমিন নামের ফেসবুক আইডি থেকে “জয়পুরহাট পরিবার” নামক গ্রুপে পোস্ট করার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে জেলার সবত্রই আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে ফেসবুকে পোস্ট দানকারী মাদক চোরাকারবারীদের ধরতে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, দিলদারসহ ঐ মাদক চোরাকারবাড়ীরা ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সঙ্গে মাদক ব্যবসা করে আসছে। গত ৪ বছরে মাদক নিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আসেন। জামিনে বেরিয়ে আবারও সে মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। বাগজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউনুস আলী মন্ডল, পাঁচবিবি যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ রনি ও ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জানান, দিলদার আওয়ামীলীগের কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথেই জড়িত নেই। সে একজন মাদক কারবারী। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ফেসবুকে ফেনসিডিলের ছবি দিয়ে পোস্ট করার বিষয়টি শুনেছি। ১৫-২০ দিন আগেও ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যত দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।