গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্সে মেশিনটি ইনস্টলের অভাবে দীর্ঘ ৩বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। অযতেœ অবহেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পড়ে আছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার এই এক্সে মেশিন। যার ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্সে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব রোগীরা বাধ্য হয়ে অধিক মূল্যে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে এক্সে করে নিচ্ছেন। জানাগেছে, ২০১৮ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি ডিজিটাল ৫০০ এমএ এক্সে মিশিন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মেশিনটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দীর্ঘ ৩বছরেও ইনস্টল করে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রেডিও গ্রাফার দিলীপ বাড়ৈ। যার ফলে মেশিনটি এখন পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি। রেডিও গ্রাফার দিলীপ বাড়ৈ বলেন, এক্স মেশিনটি ইনস্টল করে না দেওয়ার কারণে আমি এখনো এটি চালু করতে পারিনি। অপরদিকে ইনস্টল করে না দেওয়ার ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র আমার কাছে মেশিনটি এখনো হস্তন্তর করেনি। আমি আমার কর্মস্তলে গিয়েও রোগীদের সেবা দিতে পারছি না। মেশিনটি চালু হলে এই উপজেলার সাধারণ জনগন স্বল্প খরচে এক্সে করাতে পারতো। আমি চাই দ্রুতই যেন এই মেশিনটি ইনস্টল করে দেওয়া হয়। উপজেলার কুরপালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়র হাত ভেঙ্গে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাই। এখানে ডাক্তাররা এক্সে করতে বলেন। হাসপাতালের এক্সে মেশিন বন্ধ থাকার কারণে বাহির থেকে এক্সে করাই। হাসপাতালে যেখানে ৫৫টাকা দিয়ে এক্সে করাতে পারতাম বাহিরে সেখানে ৪শত টাকা লেগেছে। হাসপাতালের এই মেশিনটি চালু থাকলে আমাদের মতো গরীব মানুষেরা অল্প টাকায় এক্সে করাতে পারতো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা শীঘ্রই এক্সে মেশিনটি ইনস্টল করে দিবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন।