ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে পড়েছেন যাদবপুরের সংসদ সদস্য ও টলিউড নায়িকা মিমি চক্রবর্তী।
কসবার নিউ মার্কেট এলাকার (কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড) এক ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে এই টিকা দেওয়া হয় তাকে। এর আগে টিকাদানের ক্যাম্পেইনেও অংশ নেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিমি বললেন, ‘আমার কাছে দেবাঞ্জন দেব নামের একজন আসেন। নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে পরিচয় দেন। প্রচার করেন, কলকাতা পুরসভা এই শিবিরের আয়োজক তিনি।’
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের উৎসাহ দিতেই মিমি কসবায় সেই প্রতিষেধক শিবিরে যোগ দিয়ে কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নেন।
টিকা নেওয়ার পর খেয়াল করেন, তার মুঠোফোনে প্রতিষেধক প্রাপ্তি সংক্রান্ত কোনও তথ্য আসেনি। এমনকি প্রশংসাপত্রও তারা দিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তখনই খটকা লাগে তার।
এই তারকা বললেন, ‘প্রতিষেধক নেওয়ার পর আমি ওই শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রশংসাপত্র চেয়েছিলাম। তখন তারা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশংসাপত্র এসে যাবে। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও প্রশংসাপত্র না পাওয়ায় শিবিরের আয়োজকদের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে আমার সহকারী। আয়োজকেরা কোনও সদুত্তর দিতে না পারলে এর পরেই যোগাযোগ করি কসবা থানায়।’
জানা যায়, গত ১০ দিন ধরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে আসছিল প্রতারকরা। তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন ইতোমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের পরিচয়পত্র, কলকাতা পুরসভার নকল শিলমোহর, কাগজপত্র ও অভিযুক্তের ব্যবহৃত গাড়ি।
জানা গেছে, নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখতে গাড়িটিতে নীল বাতি, পতাকাও ব্যবহার করতেন দেবাঞ্জন। এরমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে তাকে। তাতে মিমির দুশ্চিন্তা কমেনি, বরং বেড়েছে। কারণ, শরীরে তার নকল টিকা!
তবে এই টিকা কতটা ক্ষতিকারক তা এখনও বিশ্লেষণ করতে পারেননি দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার