সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ব্যহত হচ্ছে। জানা যায় সত্তরের দশকে রায়গঞ্জের দানবীর মরহুম রুপা প্রামানিক সহ এলাকাবাসী ৭ একর ৩৩ শতক জমি হাসপাতাল নির্মান করার জন্য সরকার বরাবর দান করেন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা ক্যাপ্টেন এম. মনুসুর আলী এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ৩৩ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান সরকার হাসাপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নতি করার লক্ষে সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মান সহ নানা মুখী উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক হাসাপাতালে রুপান্তরিত করেন। সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও অপারেটর না থাকায় সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। সংকট রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সেবক, সেবিকা, অফিস সহকারী ও পরিচ্ছন্ন কর্মিরও। অপারেশন থিয়েটার (ও.টি) সক্রিয় রাখার জন্য (্এ্যানেসথেসিয়া কাজের) অবেদনবিদ নাই। সল্য চিকিৎসক ও নাই। প্যাথলজি ও ফার্মাসীতেও লোকবলের অভাব থাকায় কাংখিত স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিমুল ইহসান তৌহিদ এই সব সমস্যার কথা অকপটে স্বিকার করে বলেন সরকারের চাহিদা পত্র প্রাপ্তির পর প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত করে প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিকে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নতুন এক্স-রে মেশিন ও অপারেটর পাওয়ার পর তা চালুর জন্য উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্থানীয় এমপি মহোদয় উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সকল প্রতিকূল পরিবেশ উত্তোরনের জন্য ৩৩ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নিয়োগকৃত ষ্টাফ ও সুযোগ সুবিধা দিয়েই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।