করোনা প্রতিরোধে সোমবার থেকে সারাদেশে সরকারি বিধিনিষেধ কড়াকড়ি ভাবে পালনের নির্দেশনা জারি হয়েছে। সীমান্তবর্তী বিরামপুর উপজেলায় বড় গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ছোট পরিবহণে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। এতে ছোট পরিবহণগুলো করোনা ঝুঁকি বৃদ্ধির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার শহরের শপিং মল ও বিপণী বিতান বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে কিছু দোকানপাট খোলা ছিল। তবে শহরে লোক সমাগম কম থাকায় দোকান গুলোতে ক্রেতার সংখ্যাও ছিল নগন্য। শহরের প্রধান সড়কে বড় গণপরিবহন না থাকলেও দাপটের সাথে চলেছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, সিএনজি ও অটোরিক্সা। বিরামপুর শহর থেকে সীমান্তবর্তী হিলি (হাকিমপুর), কাটলা বাজার ও আয়ড়া বাজারে ইজিবাইক, সিএনজি ও অটোরিক্সার মাধ্যমে গাদাগাদি করে যাত্রী আনা নেওয়া করতে দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ জারি হলেও সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী এসব ছোট পরিবহণ এখন করোনা বৃদ্ধিতে বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় বলেন, গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহণে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার জানান, তিন জনের বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচলকারি ইজিবাইক ও সিএনজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহাসড়ক ও সীমান্ত এলাকায় তাদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।