রাস্তা-ঘাট মেরামত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বেকারদের কর্মসংস্থান এবং পৌর এলাকার একটি অংশ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করাসহ একটি আধুনিক পৌরসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিবার্চনে আসেন রংপরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার এক সময়ের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠ্য নেতা এরশাদুল হক। নিবার্চনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর প্রতিশ্রুতি পূরণে এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ঠাকুরদাস (বংলাবাজার) গ্রামে জন্মগ্রহন করেন মো: এরশাদুল হক। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে এরশাদুল হক ৩য়। ছোট বেলা থেকেই তিনি একটু চঞ্চল স্বভাবের হওয়ায় এলাকার সকলের সাথে ছিলো তার সখ্যতা। প্রাথমিকের পাঠ শেষ করে মাধ্যমিক এরপর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে শুরু করেন ছাত্র রাজনীতি, বিএ পাস করার পর লেখা পড়ার ইতি টানেন। এরপর বাবা মৃত মোজাম্মেল হক এবং বড় ভাইদের সাথে ব্যবসায় মনোযোগি হন। রাজনীতির আর ব্যবসা চালিয়ে যান একসাথে। এরশাদুল হকের রাজনৈতিক দক্ষতার কারণে উপজেলা, জেলা এমনকি কেন্দ্র আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ন স্থানে নিজেকে অধিষ্ঠ্য করে তুলেন খুব সহজেই। হারাগাছ পৌরসভা স্থাপিত হবার পর থেকে তিনি একবার মেয়র পদে নিবার্চন করেছিলেন। সে সময় হেরে যাওয়ার পরেও হাল ছারেন নি তিনি। এই ফাকে এরশাদুল হক পৌরসভার সাধারন মানুষের পাশে থেকে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন শক্তভাবে। সবশেষ ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী মাসে হারাগাছ পৌরসভা নিবার্চনে আবারো দলীয় সমর্থনের জন্য আবেদন করলে দল তাকে সমর্থন না দিয়ে সাবেক মেয়র হাকিবুর রহমানকে সমর্থন দিলে এরশাদুল হক দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সাধারন ভোটারের সমর্থনকে শ্রদ্বা দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নিবার্চন করেন। নিবার্চন শেষে প্রায় ১০হাজার ভোট বেশি পেয়ে হারাগাছের মেয়র নিবার্চিত হন। এরশাদুল হক নিবার্চিত হবার পর থেকে নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে নিজেকে বিলিয়ে দেয় পৌরবাসির কল্যাণে। সম্প্রতি হারাগাছ পৌর এলাকা গিয়ে দেখা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারীর আগের পৌরভবন আর বর্তমান পৌরভবন সম্পূর্ন আলাদা। সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে পুরো পৌরভবন। বারান্দার দুই ধারে টবে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। আর মেঝেতে কার্পেট কোথাও নেই কোন ময়লা আবর্জনা। কোন ধরনের সংকোচ ছাড়া অসহায় সাধারন মানুষ সেবা নিতে আসছেন মেয়রের কাছে। আগত সেবা গ্রহীতা যেন কোন হয়রানীর স্বীকার না হয় সেজন্য পৌরভবনের সব কক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আর মেয়র তার কক্ষে বসে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখছেন। হাস্যজ্জ্বল স্বভাবের হওয়ায় সকলে তাদের মনের কথা গুলো বলছেন অনায়াশে। সেবাগ্রহীতারা যে শ্রেণির বা পেশার লোক হোক না কেন তাদের আপ্যায়নে নিয়োজিত আছেন কয়েকজন লোক। সেবা নিতে আসা অপেক্ষামান মানুষগুলোকে বিভিন্ন ভাবে আপ্যায়িত করছেন তারা। আগত সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, অতীতের যে কোন মেয়রের চেয়ে বর্তমান মেয়রের কাছে তারা এলাকার সমস্যা গুলোর কথা বলতে পারছেন খুব সহজে। আর মেয়র সকল সমস্যা দুর করছেন দ্রুত সময়ে। সেবাগ্রহীতাদের প্রত্যাশা বর্তমান মেয়র এরশাদুল হক যদি সব সময় এমন থাকেন তাহলে ভবিষ্যতেও তিনিই পৌরপিতা। পৌর মেয়র এরশাদুল হক বলেন, জনগনের ভোটে নিবার্চিত হয়ে মেয়র হয়েছি। জনগন অনেক আশা নিয়ে নিবার্চিত করেছে তাই তাদের ভালোমন্দ গুলো আমাকে দেখতে। হারাগাছের মানুষকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক নগরী গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। এতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি সকলেই আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।