ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশীসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার উপকূলের কাছে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। শনিবার তিউনিশিয়া রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, লিবিয়া থেকে তারা ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই নৌকার অন্য আরো ৮৪ আরোহীকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী। ডুবে যাওয়া ওই নৌকায় বাংলাদেশ, মিসর, সুদান এবং ইরিত্রিয়ার নাগরিকরা ছিলেন। এর আগে, গত রোববার লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ভেঙে যায়। পরে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী ওই নৌকা থেকে ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।
এছাড়া গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬৪ জনই বাংলাদেশী। তিউনিসিয়ার বন্দরগুলো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে সংঘাত ও দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলে ইউরোপে গিয়ে উন্নত জীবন শুরু করার আকাঙ্ক্ষাকারী শরণার্থীদের বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মানব পাচারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বায়ুভর্তি রাবার নৌকা বা ভঙ্গুর মাছ ধরার নৌকায় এই শরণার্থীদের তুলে দিয়ে ইউরোপ পাঠাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই পথে দুর্বল বাহন নিয়ে এই যাত্রায় শরণার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত মার্চে সাফাকিশ শহর থেকেই ছেড়ে যাওয়া অপর এক নৌকাডুবিতে ৩৯ শরণার্থীর মৃত্যু হয়। এর আগে এপ্রিলে ৪০ জনের। এছাড়া গত বছর জুনে এমনই এক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়। আইওএমের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে অন্তত ২০ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে প্রাণ হারান। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে এই বছর তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালিতে আরো আট হাজার পাঁচ শ’ অভিবাসী ও শরণার্থী পৌঁছায়। সূত্র : আলজাজিরা