শেরপুরে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। ৬ জুলাই সকাল থেকেই এমনটিই দেখা যায় পুরো জেলায়। শেরপুর জেলার সদরসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাগাতি, শ্রীবরদি উপজেলায় আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা। মঙ্গলবার ৫ জুলাই এমনটিই নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশীদ। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন বলেন, আমরা সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিনা কারণে কেউ বের হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। নকলা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউছার আহাম্মেদ জানান, নকলাতেও কঠোর ভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে। নির্দেশ অমান্য করায় বিভিন্ন জনকে অর্থদন্ড দিচ্ছি। জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশীদ জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধ। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান লকডাউনে শেরপুর জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ও আনসার সদস্য। শেরপুর সদর উপজেলা ও নকলাতে সেনাবাহিনী এবং ঝিনাগাতি, শ্রীবরদি ও নালিতাবাড়ীতে বিজিবি মাঠে কাজ করবে। এছাড়াও প্রত্যেক উপজেলাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবেন। উল্লেখ্যে গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন। ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।