লতা আর পাতা দুই বোন। ছোটতেই বাবা মারা যায় তাদের। বাবা মারা যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যর সংসারে চলে যান। সেই থেকে এতিম দুই বোনের লালন পালন করে আসছেন দাদা মো: সোলায়মান ফকির। হতদরিদ্র দাদা খেয়ে না খেয়ে তাদের বড় করলেও বিয়ে দিতে পারছিলেন না। এতিম এই দুই বোনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া মুকন্দ গ্রামে। তাদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসেন মাগুড়া গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকাওয়াত হোসেনের বড় ছেলে দলিল লেখক বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: ফেরদৌস জামান বাচ্চু। সোমবার সন্ধায় পর লতার বিয়ের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে কথা হয় কনের দাদা সোলায়মান হোসেন সাথে তিনি জানান, সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘরে বসবাস করি। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নাই তার। নাতনি দু’টির বিয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। সেই সময়ে বিয়ের জন্য পাশে দাড়িঁয়েছেন বাচ্চু মহুরী। তিনি আরো বলেন লতার বিয়ে সব আয়োজন করেছে বাচ্চু মহুরী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা খরচ করে এতিম লতার বিয়েতে দিচ্ছেন বাচ্চু মহুরী। এবিষয়ে ফেরদৌস হোসেন বাচ্চু বলেন, তিনি লোক দেখানোর জন্য নয়। মানবিক কারনে এতিম মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন। তিনি এই কাজ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। উল্লেখ্যঃ একই গ্রামের জহরুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা খাতুন ও লতার বড়বোন পাতার বিয়ে দুই বছর আগে দিয়েছিলেন ফেরদৌস জামান।