নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মামুনের একমাত্র ৮ মাসের সন্তান আব্দুল্লাহ্ দীর্ঘদিন যাবত কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের চার সদস্য মিলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৭শে জুন থেকে ৩রা জুলাই পর্যন্ত সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা. বাবলু কুমার সাহা’র অধীনে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় থাকে। আকর্ষীকভাবে তার কিডনির টিকিৎসা না করে ৩রা জুলাই রাতে ৮ মাসের শিশুটিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে রংপুর মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। অবশেষে চিকিৎসা তো দুরের কথা সেই রাতেই বড় কষ্ট করে উক্ত পরিবারের এই ৫ সদস্য ডোমার বোড়াগাড়ী হাসপাতালে উপস্থিত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত এক কর্মকর্তা ঐ পরিবারের সদস্যদের চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানে না আসলেই কি এই ৮ মাসের শিশুটি করোনায় আক্রান্ত নাকি তাল-বাহানা করে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের সঙ্গে প্রতারনা করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪ ব্যক্তি ও করোনায় আক্রান্ত ৮ মাসের শিশু আব্দুল্লাহ্র দাদা আবুল কাসেম ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলেন,“আমার ৮ মাসের নাতি আব্দুল্লাহ্ কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল। সেই চিকিৎসার জন্য ১১ দিন পূর্বে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সার্জারী বিভাগের ডাক্তার বাবুল কুমার সাহা’র অধীনেই চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ করে আমাদের এসে জানায় আমার নাতির নাকি করোনা হয়েছে আর সেই বলে আমাদের ছাড়পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে দেন। এই সব্যসমাজে গরীব হয়ে জন্ম নেওয়াটা সত্যিই বড় পাপ। আজ যদি আমার টাকা-পয়সা থাকত তাহলে হয়ত হাসপাতালের কর্তীপক্ষ আমাকে এভাবে বের করে দিতে পারতেন না। আমি নিজেও জানিনা আদৌ আমার নাতি করোনায় আক্রান্ত কি না। বর্তমান সরকার করোনা রোগীদের জন্য জেলা/উপজেলায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২টি কক্ষে কোয়ারেন্টিনে থাকার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও অবধি আমাদের কোন ঔষধ প্রদান করা তো দুরের কথা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন খবর নেওয়া হয়নি”। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক এ.কে.এম.শাহাদাৎ হোসেন নিজ উদ্দোগ্যে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের ঔষধপত্র প্রদান করেন। এবং উক্ত বিদ্যালয়ের জামে মসজিদের খতিব মাও.আব্দুস সালাম নিজ উদ্দোগ্যে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের খাওয়ার সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে।