দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা শহরে লকডাউনের মাঝে দোকানীরা হাফ সাটার খুলে করছে বেচা কেনা। প্রশাসনের গাড়ি দেখলেই বন্ধ হয় দোকান, চলে গেলেই সব খোলা। শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, পিকআপ ও অন্যান্য যান বাহন। এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধের লকডাউন বিরামপুরে তেমন পালিত হচ্ছেনা। প্রশাসনের নজর দারির অভাব ও মানুষের অনিহার কারণে কার্য্যতঃ খোলা রয়েছে সব কিছুই। লকডাউনের ৮ম দিনে শহর ঘুরে দেখা গেছে, দোকানীরা হাফ সাটার খুলে করছে বেচা কেনা। প্রশাসনের গাড়ি দেখলেই বন্ধ হয় দোকান, চলে গেলেই সব খুলে বসে থাকছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা হিলি (হাকিমপুর), কাটলা বাজার, আয়ড়া বাজার, শিবপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও অন্যান্য যানবাহনে লোকজন অবাধে বিরামপুর শহরে প্রবেশ করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই কোন চেকপোষ্ট, নেই প্রশাসনের জোরালো কোন ভুমিকা। পথচারিদের কোন জিজ্ঞাসাবাদের বালাই না থাকায় লোকজন অবাধে চলাচল করছে। কিছু আনসার সদস্যকে রাস্তায় দেখা গেলেও তারা কোন ভুমিকা রাখছে না বা লোকজনও তাদের কথা মানছেনা। সকাল থেকে প্রশাসনের কোন লোকজনকে মাঠে দেখা যায়না। দুপুরে প্রশাসনের লোকজন শহরে অল্প কিছু সময় মহড়া দেওয়া কালে দোকানপাট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। প্রশাসন চলে গেলে আবার সব খুলে বসে। এ বিষয়ে থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে কিছু মানুষ বের হচ্ছে। তবে লোকজনকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা কথা শুনছেনা তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার জানান, সীমান্ত এলাকা ও অন্যান্য দিক থেকে আসা লোকজনকে আনসার বাহিনী দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা ও সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া হাফসাটার খোলা ১০/১৫টি দোকানে তালা লাগানো হয়েছে এবং বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের ৭ দিনে ৯১ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা ও ১১১ টি মামলা করা হয়েছে।