জামালপুরের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে দুই উপজেলায় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত চার দিনে জেলার ইসলামপুরে শতাধিক ও দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, বাজার, মসজিদ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাহাদুরাবাদ নৌ-থানা। ইসলামপুরের চরপুটিমারী ইউনিয়নে দশআনী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন চলছে। এক সপ্তাহে এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের চর হলকা, হাবড়াবাড়ী গুচ্ছ গ্রাম, টিনেরচর এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে।
চিকাজানি ইউনিয়নের খোলাবাড়ী, হাজরাবাড়ী, চর মাগুরী হাট, মন্ডল বাজার, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাহাদুরাবাদ নৌ-থানা, দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়ক হুমকির মুখে রয়েছে। বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালোর চর, চর বাহাদুরাবাদ, পৌল্লাকান্দি, ঝালোরচর বাজার মসজিদ, ঐতিহ্যবাহী ঝালোরচর বাজার, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সবুজপুর, পশ্চিম কাঠারবিল, চর আমখাওয়া ইউনিয়নের জিঞ্জিরাম নদীতে, পশ্চিম সানন্দবাড়ী, লম্বাপাড়া, সবুজপাড়া, ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরের চর, মাখনের চর বিলীন হচ্ছে। চিকাজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দীন আহাম্মেদ জানান, প্রতি বছরে যমুনার ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে চিকাজানি ইউনিয়নের মানচিত্র।
বাহাদুরাবাদ নৌ-থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাড় বিরামহীন ভাবে ভাঙছে। হুমকির মুখে নৌ-থানা কমপ্লেক্স । দেওয়াগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বর্ষা মওসুমের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ঝালরচর মসজিদ পরিদর্শন করেছি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, বাহাদুরাবাদের ঝালরচর হাট ও মসজিদের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকনুজ্জামান খান উপজেলার চর প্রতিবারই ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।