করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করতে জুমার নামাজে খুৎবার পূর্বে জনসচেতনামূলক আলোচনা করেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন। ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণার অংশ হিসাবে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ডুবাইল বাজার জামে মসজিদ থেকে এ প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার মির্জাপুর কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, সাজানপুর ঈদগা জামে মসজিদ ও হেমনগর কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে থানার অন্যান্য কর্মকর্তারা মহামারি করোনা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা করেছেন। জুমার খুৎবা শুরুর পূর্বে ওসি মোশাররফ হোসেন সারা দেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও এর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর হার তুলে ধরে মুসুল্লিদেরকে সরকারি বিধি-নিষেধ মান্য করে চলার উপদেশ দেন। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানার সুফল ও না মানার কুফল তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করেন। তাঁর আলোচনা শুনে উপস্থিত মুসুল্লিরা বুঝতে সক্ষম হন যে, সর্বাত্মক লকডাউন মানলে জনগণের সাময়িক সমস্যার চেয়ে উপকারিতাই বেশি। ‘করোনা ভাইরাস শহরের বড় লোকদের হয়’ গ্রামীণ সরল মানুষদের প্রচলিত এমন ধারণা মিথ্যে প্রমাণ করে তিনি তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হন যে, করোনা গ্রামের ঘরে ঘরে প্রবেশ করেছে। এ জন্য আর অবহেলা হয়, এখন থেকে প্রতিটি মানুষকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ভাইরাসের মোকাবেলা করতে হবে। এসময় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ ও মাস্ক পড়ার ব্যাপারে বেশি বেশি উৎসাহিত করেন। বাহির থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি। করোনার উপসর্গ কী কী-কারো উপসর্র্গ দেখা দিলে করণীয় সম্পর্কেও ধারণা দেন তিনি। সরকারি পরিপত্রের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সকলকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেন তিনি। পরিশেষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানী ও ঈদের নামাজ আদায় সম্পর্কে আলোচনা করে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি। মসজিদ ভিত্তিক এমন প্রচারণা ধারাবাহিক ভাবে উপজেলার প্রতিটি মসজিদে করা হবে বলে জানান তিনি।