শরীর সুস্থ রাখার জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ভেষজ উপাদানকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যদিও বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে আমাদের নির্ভর করতে হয় নানারকম ওষুধের ওপর। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ আমাদের শরীরে নানারকম ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে থাকে। তবে ভেষজ উপাদানের ক্ষতিকারক প্রভাব অ্যান্টিবায়োটিকের তুলনায় অনেক কম। এই ভেষজ উপাদানগুলো চাইলেই ব্যবহার করতে পারি বিভিন্ন রোগের ওষুধের বিকল্প হিসেবে। এ ধরনের উপাদান আমাদের শরীরে কোন প্রকার ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না। জেনে নেই কোন ভেষজ উপাদানে কোন রোগের নিরাময় ঘটে-
তুলসি পাতা:তুলসিপাতায় অ্যালকালয়েড থাকায় এটি সর্দি-কাশি, জ্বর নিরাময়ে অনেক ভালো কাজ করে। নিয়ম করে এটি খেলে শরীরে মিলবে নানা উপকার।
আদা:আদা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এটি শরীরকে গরম রাখতে ও শরীরের জীবাণুকে বিস্তার লাভ রোধ করতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ: লবঙ্গ গলাব্যথা, টনসিল ও ল্যারিনজাইটিসের মতো সমস্যা থেকে দূর রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে লবঙ্গে বিদ্যমান নানা গুণাবলী। গোলমরিচ গোলমরিচ যে কোনো ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদ: হলুদে থাকা ‘কার্কিউমিন’ যা ব্যক্টেরিয়া ও ফাংগালের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। এছাড়া হলুদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ রোধে বেশ কার্যকর।
আমলকী: পেটের বিভিন্ন রোগ ভালো করতে আমলকী বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আমলকি সব ধরনের ক্রনিক ইনফেকশনের আক্রমণে থেকে রক্ষা করে।
দারুচিনি: দারুচিনি নানা ধরনের রোগজীবাণু ধংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া দারুচিনি সরাসরি জীবাণুকে ধ্বংস করে থাকে।
বাসকপাতা: বাসকপাতার রস বা এর ফোটানো পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের শুকনো কাশি, জমে থাকা কফ এবং কাশির সঙ্গে রক্তপাত হওয়ার সমস্যাকে নিরাময় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি লিভারের জন্যও অনেক উপকারী।
আনারস পাতা: আনারসের পাতার নিচের সাদা অংশ নিয়ে সেটি রস করে খেলে মিলবে পেটের কৃমি বা প্যারাসাইট থেকে প্রতিকার।
থানকুনি পাতা: প্রতিদিন নিয়ম করে থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে এটি অনেক উপকারী শরীরের জন্য। এবং আমাশয়, জিয়ার্ডিয়ার জীবাণু মারতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী।