সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় লক ডাউনের কারণে হাট বাজারে ক্রেতার অভাবে মৌসুমি ফল কাঠাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিক্রেতারা। হাট বাজারের আড়ত, পাইকার ও পরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতার অভাবে দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। সরজমিনে উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি কাঠাল নিয়ে বসে থাকলে ও পাইকারী আড়ত না বন্ধ থাকায় ক্রেতাদেও চাহিদা মিলছে না। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে তাড়াশ পৌর বাজারে উল্লাপাড়া উপজেলার জোড় দিঘি গ্রামের ব্যবসায়ী ছানোয়ার হোসেন জানান, বাজারে ক্রেতা কম থাকায় অর্ধেক দামে কাঠাল বিক্রি করতে হচ্ছে। আসানবাড়ীর ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, মালিকদের কাছে যে দামে কাঠাল কিনতে হয় বাজারে আসলে সে দামে ও বিক্রি করতে পারিছি না। তাড়াশ সদরের আমান উল্লাহ জানান, সকাল বাজার থেকে অনেক আমদানী করা কাঠাল কিনে এখানে বিক্রি করছি। তিনি জানান গত বছর যে কাঠাল ১শ টাকায় বেচাকেনা হতো করোনার কারণে এ বছর ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার আসানবাড়ী গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম জানান রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছি এলাকায় কাঠাল বাগান কিনে এই বাজারে বিক্রি করছি তবে ক্রেতা কম থাকায় অনেক কাঠাল পচে যাচ্ছে। তিনি জানান রসালো এই ফল ২-৩দিন েেপরই কালো দাগ দেখা দেয় এবং বিক্রি করা যায় না পচে যায়। ক্রেতা মুকুল হোসেন জানান এ বছর কাঠালের দাম অনেক কম। তাড়াশ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা মোঃ হুমায়ন কবির জানান তাড়াশ উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কাঠাল বাগান নেই। কাঠাল রসালো ফল তাই বেশিদিন রাখা যায় না। এ বছর লকডাউনের কারণে কৃষক ও মৌসুমি কাঠাল ব্যবসায়ী ক্রেতা কম থাকায় বিরম্বনায় পড়েছেন বলে তিনি জানান।