করোনা মহামারির কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাটভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ জুন জারি করা বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন ও এই সংক্রান্ত বিধিনিষেধ চলমান থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আসন্ন ২৫ জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। আরও উল্লেখ্য, যারা বার কাউন্সিলের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দুইটি এনরোলমেন্ট মৌখিক পরীক্ষার যে কোনোটিতে (নভেম্বর, ২০১৮ ও এপ্রিল, ২০১৬ অনুষ্ঠিত) অনুত্তীর্ণ হয়েছেন/অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের রি-অ্যাপিয়ার ফরম ফিলাপ কার্যক্রমও বর্ণিত কারণে স্থগিত করা হলো। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও রি-অ্যাপিয়ার ফরম ফিলাপের সময়সূচি পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিজ্ঞপ্তি বার কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ৩০ মে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৩৩৫ শিক্ষার্থী। পরে তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়নের পর আরও ১৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হন মাত্র ৮ হাজার ৭৬৪ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে একইবছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ৯ কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচ কেন্দ্রে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা হয়। পরে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার দিনে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা আবারও অনুষ্ঠিত হয়। দুই ধাপে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষায় অংশ নেন।