“আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের মত কুড়িগ্রামেও তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ১১’ শ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয় একটি পরিপূর্ণ বাড়ি। গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি। চারপাশে ইটের দেয়াল এবং ছাদে লাল ও সবুজ টিনের ছাউনি। গৃহহীনরা কখনও ভাবতেই পারেনি যে তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে পাবে এমন একটি নতুন ঠিকানা। তারা এতদিন অন্যের বাড়িতে দুঃখে কষ্টে আশ্রিত ছিলো। বাস্তুহারা প্রত্যেকেই উঠেছেন এখন নিজেদের স্বপ্নের নীড়ে। স্বপ্নের বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসরত উচ্ছ্বসিত ভুমিহীন পরিবারকে নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে মিথ্যাচারকারীরা শেখ হাসিনার উপহারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যড়যন্ত্র মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনার নেয়া এই মহৎকর্ম বিশ্ববাসীর কাছে বিরল ঘটনা। এই উদ্যোগেকে অভিনন্দন কিংবা সাধুবাদ না দিয়ে যারা পরিকল্পনা করে মিথ্যাচার করছে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের ভালো চায়না। কুড়িগ্রামের পাঁচগাছিতে আশ্রয়ন প্রকল্প- ২ এর ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদে দেখে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চেয়ারম্যান, সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সকল পেশার লোকজন কে নিয়ে গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনে যান। এসময় জেলাপ্রশাসক রেজাউল করিম উপস্থিত সাংবাদিক সহ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, কুড়িগ্রামের পাঁচগাছি ইউনিয়নের নওদাবশ গ্রামে তৈরী আশ্রয়ন প্রকল্প-২ নিয়ে যারা অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে জনগনকে ভুল বার্তা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আর যেনো অসত্য তথ্য উপস্থাপন না করেন। মিডিয়ার ভাইদের বলছি আপনারা সঠিক ও সত্য তথ্য প্রচার করবেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে যা দেখবেন তাই লিখবেন। তিনি বলেন, নান্দনিক ও সুসজ্জিত ধরলা আশ্রয়ন প্রকল্প-২ সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করেন। নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের জমি সংক্রান্ত মামলার সমাধান করে প্রকৃত ভুমিহীন পরিবারকে জমিসহ সুসজ্জিত বাড়ি উপহার দেয়া হয়েছে। ধরলার পাড়ে অসংখ্য ভুমিহীন পরিবার থাকলেও এবার ৯০টি পরিবার কে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সব ভুমিহীন পরিবারকে আগামীতে ঘর দেয়া হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন সরেজমিনে তদন্ত না করে দু’একটা মিডিয়ায় অসত্য তথ্য দিয়ে তা প্রচার করছে। যারা পরিকল্পনা করে অপপ্রচার করছে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহান উদ্যোগ কে কলুষিত করছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি এই ধরলা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তরে কোন অনিয়ম হয়নি। এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সহ সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম বাবুল,যুগ্ম সম্পাদক আ,ন ম ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন, প্রকল্প বাস্তায়ন অফিসার খন্দকার ফিজানুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন চিনু, ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ইউপি সদস্য সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও সমাজের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। মিথ্যা ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশিত ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে যুক্ত হয়ে নির্মিত এসব পাকা ঘর হস্তান্তর করবেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আমি নিজেই দেখভাল করে এই আশ্রয়ন প্রকল্পকে সুসজ্জিত ও নান্দনিক করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ দেখতে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বারবার প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন। এখানে বিন্দুমাত্র অনিয়ম হয়নি।তবে চাহিদা অনুযায়ী সবাইকে এবার ঘর দেয়া সম্ভব হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন দেশের একটি লোক ও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তাই বাস্তবায়ন করেন। সারাদেশের ন্যায় সদর উপজেলা ধরলা নদীর সন্নিকটে সুসজ্জিত আশ্রয়ন প্রকল্পে ৯০ টি পরিবারকে পাকা ঘর ও জমির দলিল সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই উপকারভোগীদের মাঝে নির্মিত এসব পাকা ঘর হস্তান্তর করেছেন। নান্দনিক ও সুসজ্জিত ঘর, দৃষ্টিনন্দন দুটো পুকুর, বিশাল খেলার মাঠ, বিদ্যুৎ সহ মনোরম পরিবেশে অসহায় এসব ভুমিহীন মানুষের স্বাচ্ছন্দ দেখে মহতী এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র মেতে উঠেছে একটি মহল। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ:লীগের সদস্য আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি যড়যন্ত্র করে মিথ্যা ও ভুল তত্থ্য প্রচার করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে কুড়িগ্রামের তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ১১’ শ পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয় একটি পরিপূর্ণ বাড়ি। গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি। চারপাশে ইটের দেয়াল এবং ছাদে লাল ও সবুজ টিনের ছাউনি। ভুমিহীনরা কখনও ভাবতে পারেনি যে তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এমন একটি নতুন ঘর পাবে। গৃহহীনরা এতদিন অন্যের বাড়িতে দুঃখে কষ্টে আশ্রিত ছিলো। তারা প্রত্যেকেই উঠেছেন নিজেদের স্বপ্নের নীড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোস্তাফিজার রহমান সাজু বলেন,সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা নিজে পরিদর্শন করে সত্যতা তুলে ধরুন। যারা ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কারণে কুড়িগ্রাম কে কলুষিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাদের আমরা চিনি ও জানি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিরাজুদ্দৌলা বলেন, শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে যড়যন্ত্র করে লাভ নাই। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত টিম সবকিছু পরিদর্শন করছেন। ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনিয়ম করে ঘর নির্মাণের অভিযোগে আমলাদের শাস্তি পাওয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বাসীর পক্ষে যড়যন্ত্রকারী, মিথ্যাচারের সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি টাকা দিয়ে ঘর পাওয়ায় কথা অস্বীকার করে, উপকারভোগী মাজাহার বলেন, বিনামূল্যে সব পেয়েছি, জীবনের স্বপ্ন পুরন হয়েছে। শেখের বেটিকে আল্লাহ বাচায় রাখুক। আশিকের স্ত্রী খালেদা, ছমতুল্যার পুত্র আকবর, তেসেরের পুত্র বিল্লাল, হারুনের স্ত্রী মিনু, ছোলায়মানের স্ত্রী শেফালী, আবেদের স্ত্রী বানেছা, মিজানুরের স্ত্রী রনজিনা, হালিমা ও আনছার আলী বলেন প্রধান মন্ত্রীর উপহার জমি সহ পাকাঘর পেয়ে আমরা খুশী। যিনি আমাদের এই ঘর দিয়েছেন তার জন্য দোয়া করি। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলা রিক্সা চালক আক্কুল মিয়া বলেন, কয়দিন ধরি নয়া নয়া লোক আইসে, পুকুর পাড়োত বসি নানান গল্প করে আর জিজ্ঞেস করে কত টাকা দিয়ে পাইলেন ঘর? কি কন বাহে এক পয়সাও লাগে নাই। এহানে সোগাই ট্যাকা ছাড়া ঘর পাইছে। লোকগুলা কথা কয় আর মোবাইল চালায়। মুই যহন কং তোমরা কোটে থাকি আইসছেন, কি করেন? নাম কি জিজ্ঞেস কইরতে ফোনত কথা কইতে কইতে চলি যায় আর বলে পরে আসবো। উল্লেখ সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা পাড়ের ৮২৬ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ সময় মামলা চলে আসছিলো। মামলার বাদী ময়েজ উদ্দিন বাচ্চুকে স্থানীয় ভাবে ম্যানেজ করে উক্ত জমিতে নির্মাণ করা হয় সুসজ্জিত আশ্রয়ন প্রকল্প। ভুমিহীন পরিবার গুলো কে যাচাই বাছাই করে ৯০ টি পরিবারকে জমির দলিল সহ সুসজ্জিত ঘর হস্তান্তর করা হয়। মিথ্যাচার ও ভুল তথ্য প্রচার প্রচারিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শনে যান। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম সেখানে মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার সহ খেলার মাঠ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।