অস্ট্রেলিয়ার ভিসা দেওয়ার নামে উম্মে ফাতেমা রোজী নামে এক অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী নারী বিরুদ্ধে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করেছেন, রাজধানীর বনশ্রীর মোঃ খাইরুল ইসলাম আইনজীবী। অভিযোগে বলা হয়েছে, রোজীর সাথে ভূক্তভোগীদের দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে পারবারিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো। এক পর্যায়ে রোজী এদেরকে অস্ট্রেলিয়ান (সাব ক্লাস ৮৩৫) মাইগ্রেশন ভিসা দেওয়ার কথা জানান এবং নিজেকে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ভিসা অফিসার বলে দাবী করেন। প্রথমে রোজীর নিজ মায়ের একটি ভিসার কপি তাদেরকে প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে একের পর এক করে ছয়টি ভিসার কাগজ প্রদান করেন এবং বলেন যে করোনার কারণে অনলাইনে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ আছে। তাই সকল ডকুমেন্টস ইমেইলের মাধ্যমে আদান প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সময় একাধিক ভূয়া মেইল আইডি থেকে তারা ডকুমেন্টসগুলো প্রদান করতেন এবং এম্বাসিতে মৌখিক ভাইভা দেওয়ার পরিবর্তে ফোনের মাধ্যমে তারা ভাইভা নেন। এর কিছুদিন পরে যখন ভার্জিন বিমানের ভূয়া টিকেট দেওয়া হয় তখন ভুক্তভোগীরা ভার্জিন এয়ার লাইন্সের হেডকোয়ার্টারে মেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে তাদের কোনো বিমান বর্তমানে এ রুটে নেই । তখনই তাদের কাছে রোজীর প্রতারণা ধরা পড়ে। তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তখন সে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকেন এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত ও সাইবার ট্র্যাইব্যুনালে ২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ভুয়া ভিসা, জাল মেডিকেয়ার/ হেলথ কার্ড এবং জাল ভার্জিন এয়ার লাইন্সের টিকেট প্রদানের বিনিময়ে কয়েক কিস্তিতে এবং বিভিন্ন কায়দায় উম্মে ফাতেমা রোজী কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,উম্মে ফাতেমা রোজী, পিতা-মৃত রাজ্জাক মিয়া, অস্ট্রেলিয়া পাসপোর্ট নং-চঅ ৯৭৪০৩১২। ও তার মাতা ফরিদা ইয়াসমীন, স্বামী-মৃত রাজ্জাক মিয়া, স্বামী রাকিব হাসান মিতুল, পিতা-মৃত রাজ্জাাক মিয়া,সর্ব সাং-ভারুকাঠী (মিয়া বাড়ী), থানা ও জেলা-ঝালকাঠী। ঢাকার ঠিকানা-প্লট নং-৭৩ (৫ম তলা), রোড নং-৫/২, ব্লক-ডি, দক্ষিণ বনশ্রী, থানা-খিলগাঁও , ঢাকা। ১ ও ৩নং প্রতারক বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করছে।
বাদী মোঃ খাইরুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেছেন, প্রতারণার মামলাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বসেই নানা প্রকার অপতৎপরতা চালাচ্ছে উম্মে ফাতেমা রোজী ও তার দোসররা। তারা নানাভাবে মামলাকে প্রভাবিত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বাদী মো: খাইরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে খুন গুম করার হুমকিও দিচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীন দিন -রাত কাটাচ্ছেন। বাদী মো: খাইরুল ইসলাম এই প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার পরিবারের জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য,উম্মে ফাতেমা রোজীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তার বক্তব্য চেয়ে প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে ইমেইল করা হয়েছে। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলতে চাইলে তা পরবর্তী সংখ্যায় প্রতিবেদক ও বাদীর বক্তব্যসহ প্রকাশ করা হবে।