গুজব ঠেকাতে ভারতে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ। এদের মধ্যে ৯৫ শতাংশের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে কেবলমাত্র মেসেজ ফরোয়ার্ডিং সংক্রান্ত নীতিমালা না মানার কারণে।
বাকি পাঁচ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ভুয়া অ্যাকাউন্ট এবং রিপোর্টেড অ্যাকাউন্ট। এ ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোকে মেশিন লার্নিং সিস্টেমের মাধ্যমে শনাক্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারা আবার নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে গেলে তাও শনাক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি, অন্যান্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের ভিত্তিতেও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে।
ভারতের বিতর্কিত নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নির্দেশিকা মেনে বৃহস্পতিবার প্রথম গাইডলাইন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে নেটমাধ্যমের অপব্যবহার চিহ্নিত করে এবং বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন এই অ্যাপটি প্রায়ই ভারতে ভুল তথ্য এবং ভুয়া সংবাদ প্রচারের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। দেখা গেছে এ জাতীয় ভুয়া ও প্রতারণাপূর্ণ সংবাদ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়। যাদেরকে বাস্তবে মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব।