করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে চতুর্থ দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৬৬ জন। আর ১৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়াও ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৪৪৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার টাকা। চার দিনে রাজধানীতে মোট গ্রেফতার হলেন এক হাজার ৯৩৯ জন। গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) লকডাউনের দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে চতুর্থ দিনে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় ডিএমপির ৮টি বিভাগ। সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, লকডাউনের চতুর্থ দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপির ৮টি বিভাগের রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ৫৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লকডাউনে সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ ৪৪৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, সরকার করোনার সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনেও রাজধানীজুড়ে সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ায় এবং লকডাউনেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে তৃতীয় দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেফতার হন ৫৮৭ জন। আর ২৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় এক লাখ ৯৫০ টাকা। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৫২১টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয় ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।