কুড়িগ্রামে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে। জরিমানা করেও আটকানো যাচ্ছে না তাদেরকে। এছাড়াও অলিগলিতে কমেনি জনসমাগম। নেই স্বাস্থ্য বিধি মানার বালাই। দেদারসে চলছে অটোরিক্সা, ইজিবাইক আর মটর সাইকেল। গলির ব্যবসায়ীরা সার্টার অর্ধেক খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শহরের ত্রিমোহণি বাজার এলাকায় মোবাইল টিম ১১টি মামলা ও ৪ হাজার ৮০০টাকা জরিমানা করেছে। মোবাইল টিম পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. হাসিবুল হাসান। এছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল দিও, বিআরটিএ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম এবং বিজিবি, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পযর্ন্ত অভিযান পরিচালনাকালে অপ্রয়োজনে যারা অটো নিয়ে বাইরে বের হয়েছে তাদেরকে বাড়ীতে ফেরৎ পাঠানো হয়। তবে ফেরৎকৃত অটোগুলো বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে আবারো শহরে প্রবেশ করে। সোমবার রাত ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পযর্ন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রচুর লোকজনের সমাগম। শহরের কলেজমোড় এলাকায় বিশ থেকে ২৫জন মানুষ জটলা পাকাচ্ছে। এছাড়াও পৌরবাজার ফলপট্টি, এলজিইডি বস্তিমোড়, গোডাউন গেট, শাপলা চত্বর, সিংহমোড়, কালিবাড়ী, খলিলগঞ্জ বাজার, খেজুরেরতল, রেলওয়ে স্টেশন, ত্রিমোহণী বাজারসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ২০ থেকে ৪০জনের বহর। অকারণে বাইরে জটলা পাকাচ্ছে তারা। প্রশাসন থেকে নানাভাবে মানুষকে ঘরে থাকতে বললেও অধিকাংশ মানুষ বিধিনিষেধ মানছেন না। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত্ম কুড়িগ্রামে নতুন করে আরো ২জন করোনায় মৃত্ ুবরণ করেছে। এনিয়ে জেলায় মৃত্রু সংখ্যা ৪২জনে। গত দুই সপ্তাহে মৃত্বুরণ করেছে ১৫জন। এছাড়াও গত ২৪ঘন্টায় ২৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০১জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।