শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

শেরপুরে জনসচেতনতায় কাজ করছে করোনা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১

পুরো বিশ্বে চলছে করোনার ৩য় ও ৪র্থ ঠেউ। বাদ যায়নি বাংলাদেশ। করোনা মহামারির ভয়াল থাবা ঠেকাতে গত ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের মত মাঠে কাজ করছে  করোনা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম শেরপুর। যা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে শেরপুর জেলাবাসীর। শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রখর রোদ্র এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে জেলা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের মধ্যে শেরপুর জেলা রক্তদান ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা, রক্তসৈনিক শেরপুর, আজকের তারণ্য, বিডিক্লিন শেরপুর, রেডক্রিসেন্ট যুব ইউনিট, ক্লিন আপ শেরপুর, স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম অন্যতম। শেরপুর জেলা রক্তদান ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা শেরপুর জেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো গতবছরও করোনা মহামারিতে মাঠে দীর্ঘ দিন কাজ করেছি। চলতি বছরে জুন মাসে হঠাৎ করোনা ভাইরাস শেরপুরে খারাপ আকার ধারন করে। ঠিক তখনি শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগীতা আমরা আবারও মাঠে কাজ করছি। যারা মাস্ক ছাড়া বের হয়েছেন তাদের আমরা বিনামূল্যে মাস্ক দিচ্ছি। এছাড়াও জেলা শহরে জনসমাগম রোধকল্পে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। বিনা প্রয়োজনে যারা শহরে বের হয়েছেন তাদেরকে আমরা বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করছি। রক্তসৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু বলেন, বর্তমানে শেরপুরে করোনা পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারন করেছে। এই মুহুর্তে আমরা জেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করছি। জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। অটোরিকশা যেন বেশি যাত্রী বহন না করে এবং বিনা প্রয়োজনে কেউ বের না হয়। সে আমরা সকলকে সচেতন করছি। যারা শহরে বের হচ্ছেন তাদেরকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আজকের তারণ্যর সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন জানান, আমরা শেরপুর জেলা প্রশাসনের ইমার্জেন্সি সাপোর্ট টিম হিসেবে কাজ করছি। যানবাহন নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীদের সহযোগীতা করছি। যারা মাস্ক ছাড়া বের হয়েছেন। তাদেরকে নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে সংগঠনের পক্ষ হতে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন করছি। এখনি যদি করোনা মহামারি রোধ না করা যায়। তাহলে সামনে শেরপুর জেলা বাসীর জন্য ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, গতবছরের ন্যায় এবারও জরুরী মুহুর্তে শেরপুরে করোনা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা শেরপুর জেলা প্রশাসন থেকে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। কারণ তারা আমাদের ডাকে সারা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে করোনা মহামারিতে মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও চলমান লকডাউনে মাঠে পুলিশ, সেনাবাহিনীর কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, শেরপুর জেলায় করোনা ভাইরাস রোধকল্পে আমরা বিভিন্ন উদ্যেগ হাতে নিয়েছি। করোনা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম তারই একটি অংশ। এই খারাপ অবস্থায় জেলাবাসীকে আমাদের সহযোগীতা করতে হবে। তা নাহলে এই ভাইরাস সামনে আরও ভয়াবহ আকার ধারন করবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com