ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে নিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। স্থানীয় পৌর নির্বাচনে কমিশনার নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি ভোটের রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে অনেক ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় নির্বাচনগুলোতেও তিনি অনেক ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কে পরাজিত করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ ৪ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতার জন্ম হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে তারাও ক্ষমতায় থেকে জনগণের সেবা করেছেন। আনোয়ারুল আজিম আনারও কমিশনার থেকে এমপি হয়ে ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলাকার জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। সত্য, সুন্দর এবং সাধারণত্ব দিয়ে এম পি আনার নিজের জন্য স্বতন্ত্র একটি স্টাইল তৈরি করে চলছেন। তার অনেকগুলো ভালো কাজের একটি হলো, মৃত ব্যক্তির শেষকৃর্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা। এলাকায় থাকাকালীন সময়ে যদি একই দিনে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ পান তাহলেও তিনি নিজে বাইক চালিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির ধর্ম অনুযায়ী শেষকৃত্য অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই কাজটি করে আসছেন। কয়েক সহস্র শেষকৃর্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। ব্যতিক্রমী এই কাজটি কেবল ঝিনাইদহেই নয় অন্য কোনো নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যকে করতে দেখা যায়নি। ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাধারণ জনগণ এম পি আনারের ব্যাতিক্রমী এই কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানায় সরকারের নিকট। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড এর ও এ পি গোলাম রসুল জানান, অভাবনীয় নেতৃত্ব গুণে গুণান্বিত ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকা-ের মাধ্যমে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের খুব কাছের মানুষের পরিণত হয়েছেন। সামনে-পেছনে নেই কোন গাড়ির বহর, নেই কোনো পুলিশি পাহারা নিজ বাইকে চেপে নির্বাচনী এলাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটছেন প্রতিনিয়ত। সকাল সাতটা থেকে শুরু করে গভীর রাত অব্দি জনগণের সেবাই নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় যতগুলো মৃত্যুসংবাদ তার কানে পৌঁছায় তিনি প্রতিটি মৃত ব্যক্তির শিওরে হাজির হয়ে যান। তার দৈনন্দিন সকল কাজের মধ্যে এটি একটি অন্যতম কাজ হিসেবে তিনি তা প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। ব্যাপারে সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার এই প্রতিবেদককে জানান, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি এখন জনগণের কাছে দ্বায়বদ্ধ, আমি এখন তাদের সেবক। দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি করোনাকালেও জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, এখনো আছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩৫ নাম্বার আয়াত ‘প্রত্যেক প্রাণই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আমি তোমাদের ভালো ও খারাপ অবস্থা দিয়ে পরীক্ষা করি। আর আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসতে হবে’- উল্লেখ করে বলেন, আমার এলাকার কোনো ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে যখন আমি সেখানে উপস্থিত হই তখন নিজেকে তাদের একজন বলে মনে হয়। তারাও আপনজন হিসেবে আমাকে গ্রহণ করে। অন্যরকম এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয় সেসময়, যা আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করি।