রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিজয় ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

শরণখোলায় বেরীবাঁধ কাটার চেষ্টা রুখে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১

শরণখোলায় বিক্ষুব্ধ জনতার ওয়াপদা বেরীবাঁধ কেটে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা রুখে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার রসুলপুর (দাসেরভারানী পাড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে উপজেলার পঞ্চাশ সহ¯্রাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে রয়েছে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত ইত্তেফাককে জানান, সোমবার সকালে পানিবন্দী বিক্ষুব্ধ জনগন পানি অপসারনের লক্ষ্যে উপজেলার রসুলপুরে (দাসের ভারানী পাড়) পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেরিবাঁধ কেটে ফেলা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগনকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত ও বাধ কাটা বন্ধ করি। আমরা যাওয়ার আগেই বেরিবাঁেধর অনেকখানি জায়গা কেটে ফেলা হয়েছে যা মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাব্ধতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তের হাজার পরিবারের প্রায় ৫৫/৬০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে বলে ইউএনও জানান। উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, শরণখোলায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে তাদের একটি টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নয়টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে আগামীকালের মধ্যে সেখানে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি অপসারণের কাজ শুরু করা হবে এছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সমস্যা চিহ্নিত ও করনিয় নির্ধারণের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ঐ প্রকৌশলী জানান। সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে শরণখোলার গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। ৪/৫ ফুট পানির নীচে ডুবে যায় ফসলের মাঠ,বাড়ীঘর রাস্তাঘাট। ভেসে যায় পুকুর ঘেরের মাছ। ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু জানান, তার ইউনিয়নের শত শত পরিবার এখনো পানি বন্দী হয়ে আছে। ঘরে পানি ওঠায় অনেক পরিবারে রান্না হয়না আত্মীয়স্বজনের বাড়ী থেকে খাবার এনে খাচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান। খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মহিউদ্দিন ও সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন একই ধরনের তথ্য দিয়ে বলেন তাদের ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পর্যাপ্ত স্লুইসগেট না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি খুব ধীরগতিতে নামছে বলে চেয়ারম্যানদ্বয় জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com