শরণখোলায় ভারী বর্ষণে আটকে থাকা পানি নিষ্কাশনে কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রামের কালিয়ারখাল এলাকায় ওয়াপদা বেরিবাঁধের নীচে পাইপ বসানো হয়। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত মঙ্গলবার দুপুরে রাজৈর কালিয়ারখাল এলাকার পানি অপসারনে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বেরিবাঁেধর মাটি কেটে পাইপ বসানোর কাজের সুচনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত বলেন, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলায় প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে, ফসলের মাঠ ৪/৫ ফুট পানির নীচে ডুবে আছে। উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুল আলম বলেন, শরণখোলায় জলাবদ্ধতা জরুরী ভিত্তিতে নিরসনে ইতিমধ্যে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নয়টি স্থান চিহ্নিত এবং সেখানে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে এছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ঐ প্রকৌশলী জানান। সোমবার (২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার রসুলপুর (দাসেরভারানী পাড়) এলাকায় পানিবন্দী বিক্ষুব্ধ জনতার ওয়াপদা বেরীবাঁধ কেটে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা রুখে দেয় উপজেলা প্রশাসন।