পটুযাখালীর দশমিনা উপজেলায় বাঁশের চাঁই দিয়ে মাছ শিকারের ফলে দেশী প্রজাতির মাছ রুপকথার গল্পেরমত হতে চলছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছের পোনা ও মাছ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্চে বাঁশের তৈরী চাঁই জলাশয়ে পেতে মাছের বংশ নষ্ট করছে অসাধু জেলেরা। অন্যদিকে বিভিন্ন খালে ও ডোবায় অধিক হারে কীটনাষক ব্যবহারের কারনে মাছের বংশ বিস্তার করতে পারছেনা। এসব অবৈধ চাঁই প্রতিরোধ করতে না পারলে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন কমে যাবে। তবুও থেমে নেই মাছ শিকারে অসাধু জেলেরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবৈধ ভাবে বাঁেশর তৈরী চাঁই বিক্রি করে থাকে স্থানীয় ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা। বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ধানীজমি ও খাল-বিল, ডোবা-নালাতে বাশেঁর চাঁই পেতে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ও মাছ শিকার করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাছ শিকারের জন্য ব্যবহারিত নিয়ম কানুন না মেনে অবৈধ ভাবে চাই পেতে মাছ শিকাওে মেতে উঠেছে অসাধু জেলেরা। এসকল অসাধু জেলেরা দুইসুতাঁ পরিমান ফাঁকা রেখে বাশেঁর চাঁই তৈরী করে ব্যবহার করছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ নষ্ট করছে। আর দেশীয় মৎস্য প্রজনন কমে যাচ্ছে। অন্য দিকে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের আকাল দিন দিন বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায় বাঁশের চাঁই ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দেশীয় মাছের রুপকথার গল্পেরমত থেকে যাবে। চাঁই দিয়ে মাছ শিকারকারী মো. ইউনিুছ খা বলেন, লকডাউনে রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারিনা। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে বাঁশের চাঁই কিনে এনেছি। ৬জনের সংসারের খরচ চালাতে এ পথে নামছি। না খেয়ে কয়দিন থাকতে পারি। খালে-বিলে ও ডোবায় পেতে মাছ শিকার করে বাজারে কিংবা মাছের আড়ৎতে বিক্রি করে সংসার চালাই। এ উপজেলায় এরকম কয়েক শ’ চাঁই দিয়ে মাছ শিকার করে সংসার চালায়। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, বাশেঁর চাঁই দিয়ে মাছ শিকারের কারনে এ অঞ্চলের দেশী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তবে এ বাঁশের চাই গুলো অপসারনের লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এবং খালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।