বাজারে চালের দাম বেশী ধাকায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে ওএমএস কেন্দ্রে ছুটছেন ক্রেতারা। কমলগঞ্জ পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে ওএমএসের কার্যক্রম চলছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ হতে হচ্ছে অনেককে। ৪ আগষ্ট বুধবার সরেজমিনে কমলগঞ্জ পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ওএমএস কেন্দ্রগুলোতে কর্মহীন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। উপজেলা চৌমুহনা এলাকার ওএমএস ডিলার খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ জনের মধ্যে চাল ও ২০০ জনের মধ্যে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চাল ও আটার মান খুব ভালো। বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নআয়ের মানুষের। তাই তারা ভিড় করছেন এমএসের ডিলারের কাছে। চাহিদা খুব বেশী। বিক্রি শুরুর কয়েক ঘন্টাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেককেই খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। চাপ সামাল দেওয়ার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে জানান তিনি। পৌর এলাকার বাসিন্দা সুলেমান মিয়া, অজয় দেব জানান, বাজারে অতি নিম্নমানের চাল ও আটা ৪৫ ও ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ ছুটছেন খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রির ডিলারদের কাছে। তাই ওএমএস-এর দোকানে ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনছেন। পৌর এলাকায় ৩টি ডিলারের দোকানে এই লাইন দেখা গেছে । ওএমএস কেন্দ্রে চাল-আটা কিনতে আসা আমিনা বেগম বলেন, বাজারে চালের দাম বেশী। এখানে একটু কম দামে চাল ও আটা পাওয়া যাচ্ছে। তাই লাইনে দাড়িয়েছি। ভ্যান চালক রাসিদুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে রাস্তায় ভাড়া নেই। রোজগারও নেই। বাজারে চাল-আটা কোন কিছুতেই স্বস্তি নেই। তাই এখানে চাল কিনতে এসেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় গত ২৫ জুলাই থেকে উপজেলা পরিষদ গেইট সংলগ্ন, ভানুগাছ চৌমুহনা ও রেলওয়ে স্টেশন মোড়ে ৩টি পয়েন্টে একযোগে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নিম্নআয়ের মানুষ কিনছেন এই দুটি খাদ্য পণ্য। এসময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দীপক মন্ডল জানান, কমলগঞ্জ পৌর শহরে শুক্রবার ব্যতীত দৈনিক ৩ জন ডিলারের মাধ্যমে সাড়ে ৪ মেট্রিক টন করে চাল ও ৩ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলারগণ ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি হারে আটা বিক্রি করছেন। সরকারি বিধিমোতাবেক সুষ্ঠুভাবে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার কঠোর নির্দেশনা আছে।