বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দাউদকান্দিতে ১৭ বছরেও পাকা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা: সেবা নিতে আসা মানুষের চরম দুর্ভোগ রংপুরে সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সচেতনতা মুলক সভা শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে রেসাস বানর উদ্ধার আওয়ামীল লীগ ক্যাডার নজরুল সিন্টিকেটের দখলে ৩০ একর বনভূমি দেওয়ানগঞ্জে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা গলাচিপায় নবাগত উপজেলা প্রশাসনের সাথে রাজনৈতিক দলের মতবিনিময় সভা বাউফলে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ কেরানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভা পিরোজপুরে দুই ক্ষুদে হাফেজকে সংবর্ধনা গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক

হিজাব পরে মার্কিন বিমানবাহিনীর দায়িত্বে ক্যাপ্টেন মায়সা উজা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

মার্কিন বাহিনীর প্রধান হিজাবি অফিসার নিযুক্ত হলেন ক্যাপ্টেন মায়সা উজা। ২৯ বছর বয়সী এই মুসলিম নারী গর্বের সাথে হিজাব পরে বিমানবাহিনীর দায়িত্ব পালনের মতো গুরুতর কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে হিজাব পরে কাজ করতে আসার অনুমতি আদায় করতে গিয়ে মায়সা উজাকে অনেক বাধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মায়সা উজা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অফিসার প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত আমি ধর্মীয় পোশাক পরতে পারব না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমাকে ধর্মীয় অনুশাসন ও দেশের সেবার মধ্যে কোনো যেকোনো একটিকে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মায়সা উজা আরো জানিয়েছেন, ‘প্রথমে নিয়োগ পেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মুসলিম নারীকে ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব পরতে দেখিনি।’
এরপর সামরিক বাহিনীতে হিজাব পরে কর্তব্য পালন করার জন্য লড়াই শুরু হয় মায়সা উজার। অবশেষে তিনি অনুমোদন পান। ২০১৮ সালে তাকে হিজাব পরার জন্য আইনি অনুমোদন পান। বর্তমানে মায়সা উজা বিমানবাহিনীর আইন বিষয়ে জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মায়সা উজা জানিয়েছেন, দেশের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করতে তার বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়া। কিন্তু প্রশিক্ষণের সময় মনে হয়েছে আমার ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এরপর তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ও আইন বিষয়ক হামুদ ও দাখলাল্লাহসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন’। তবে মায়সা উজার এই লড়াই অন্যান্য মানুষের জীবনেও একটি অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার একক লড়াই অন্যকেও সাহস জুগিয়েছে। মায়সা উজার এই লড়াইয়ের পর এ বছর সবার ধর্মীয় পোশাকের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ইউনিফর্ম বিষয়ক নীতিমালায় পরিবর্তন করা হয়। অর্থাৎ এখন থেকে অফিসার্স ট্রেনিং শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিমানবাহিনীর যেকোনো নারী ও পুরুষ কর্মকর্তা ইউনিফর্ম হিসেবে নিজের ধর্মীয় পোশাক পরার আবেদন করতে পারবেন। মায়সা উজা জানিয়েছেন, তিনি প্রান্তিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চান। মার্কিন বিমানবাহিনী একজন অফিসার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি একজন নারী অধিকারকর্মী হিসেবে সমাজ সেবার কাজ করে চলেছেন উজা। উজা জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাতেও অনেক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়া।
সূত্র : পুবের কলম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com