বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর আরও চিকিৎসা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী পর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজভী সাহেব দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসাতে আমরা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে তার বক্তব্যে মনে হয় তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। তিনি যে সব বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে মনে হয় তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন।
গণহারে টিকা প্রয়োগ নিয়ে রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এ সব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার শুরু থেকেই বিএনপি নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। যখন গণটিকা শুরু হলো তখনও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দিয়েছে। এখন রিজভী সাহেবও দিলেন।
বিশ্বের সব দেশে গণটিকা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের সব দেশে গণটিকা দেয়া হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেতারা এর বিরোধিতা করছেন। এটা জনস্বার্থবিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রুহুল কবীর রিজভী অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে বলেছেন। তিনি মডার্নার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সরকার তো দুটোই সংগ্রহ করেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গবেষক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনেক বেশি ভালো এবং কার্যকর। যা ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করেছে। বলা হয় ৯২ শতাংশ কার্যকর। ভারতের ১০ কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং তাদের দেশে করোনা সংক্রমণ ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সচিবালয়ের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর বিষয়ে তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে যে সব আলোকচিত্র নিয়ে আসা হয়েছে। এ আলোকচিত্রগুলো সম্পর্কে সবাই জানে না। সবার দেখার সুযোগ হয় না। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও প্রচুর মানুষ আসে তারাও এ প্রদর্শনী দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, দেশে সাত কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাদের কাছে পৌঁছাতে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রদর্শন করা হবে। এটি খুব ভালো উদ্যোগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাষ্ট্র রচনা করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটেছে দুই হাজার বছর আগে। যদিও এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। সুতরাং বাঙালি জাতিসত্তা উন্মেষের পর অনেক বাঙালি রাজা থাকলেও স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। এই খুনের নেপথ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন। সে ষড়যন্ত্র আজও চলে। এই খুনিদের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। বাংলার মানুষ খুনিদের বিচার এ মাটিতে দেখতে চায়।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও স¤প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।