বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, কিছু দেশে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোয় এ সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখনই লকডাউন শিথিল করা যাবে না। লকডাউন তুললে খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এছাড়া হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-কানুন মেনে চলা শিথিল করা যাবে না।
তেদরোস আধানোম বলেন, কিছু দেশ এখন তথাকথিত লকডাউন ও ঘরে থাকার নির্দেশ শিথিল করতে শুরু করেছে। কিন্তু পদক্ষেপগুলো (রোগীর সন্ধান, পৃথকীকরণ, পরীক্ষা ও সব রোগীর চিকিৎসা) শিথিল করা যাবে না।
লকডাউন তুললে মহামারী আরও ভয়াবহরূপে ফিরে আসতে পারে। আমরা এখনও মহামারীটির প্রথম ধাপে রয়েছি। আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সুরক্ষিত থাকার খুব সাধারণ একটি কৌশলই এখন সেরা কৌশল। সেটা হল, হাত পরিষ্কার করা। হাত ধোয়ার এ অভ্যাস জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। করোনা হুমকি মোকাবেলায় পুরো বিশ্বের একজোট হয়ে লড়াই করার এটাই সুযোগ। শুধু তা-ই নয়, এ পরিস্থিতি সবার জন্য অভিন্ন এক ভবিষ্যতেরও হাতছানি দিচ্ছে, যেখানে সব মানুষই সর্বোচ্চ মানদণ্ডের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এ ভাইরাস আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকবে এবং একে পরাজিত করতে আমাদের একজোট হয়ে উপকরণ তৈরি ও বণ্টন করতে হবে।
লকডাউন প্রত্যাহার বা শিথিল করার আগে ছয়টি শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেগুলো হল-১. রোগের সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা। ২. দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রত্যেক রোগীকে শনাক্ত, পরীক্ষা, আইসোলেশন, চিকিৎসা এবং সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে সক্ষম।
৩. হাসপাতাল, নার্সিংহোম, সেবাকেন্দ্রগুলোর মতো নাজুক স্থানগুলোয় ঝুঁকি নিম্নতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা। ৪. স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও অন্যসব দরকারি স্থানে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। ৫. বাইরে থেকে আসা নতুন রোগীদের সামলানো। ৬. সমাজের বাসিন্দারা পুরোপুরি সচেতন, সতর্ক ও নতুন জীবনযাপনের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এমআর/প্রিন্স