ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন প্রবাসী মোশারফ হোসেনের নির্মানাধীন অনুমোদনহীন বহুতল ভবন পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এম জহিরুল হায়াত। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানায়, ২০১৯ সালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইত কান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোশারফ হোসেন কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে বিল্ডিং কোড অমান্য করে এবং ফাইলিং ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে করে প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের মালিকীয় হেলাল হোটেলের একতলা ভবনে ফাটলের সৃষ্টি হয়। ভবনটির জমির মালিকানা নিয়েও হাইকোর্টে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মতিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুর রহমান টিপু জানিয়েছেন, উক্ত ভবন যে ভূমিতে করা হয়েছে তার একাংশের মালিক জেলা পরিষদ, অথচ নির্মাণের সময় জেলা পরিষদ থেকে কোনরূপ অনুমতি নেয়া হয়নি। ভবনটির জমির মালিকানা বিরোধের জেরে নির্মান কাজ বন্ধের জন্য কামরুল হাসান চৌধুরী গং হাইকোর্টে রিট করলে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভবনটির নির্মান কাজ বন্ধের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি ভবনটি অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মালিক পক্ষ কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। কোন প্রতিকার না পেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন গত ৫ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি দ্রুততার সাথে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে পরিদর্শনকালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) লিখন বনিক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাছির উদ্দিন, মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জমান বাবু, মতিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুর রহমান টিপু উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে মোশারফের পক্ষে ভবন নির্মান কাজের তদারককারী মোঃ মহিউদ্দিন নির্মান কাজ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিখিত মুচলেকা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এম জহিরুল হায়াত বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আদেশক্রমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পরিদর্শনের সময় ভবন নির্মানকারী পক্ষ ভবন অনুমোদনের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।