অবশেষে রাঙ্গামাটিবাসীর অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এই মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন বসানোর কাজ। ইতোমধ্যে হাসপাতালে প্রতিটি বেডে অক্সিজেনের লাইন টানানো হয়েছে। যে ট্যাংকের জন্য এতদিন অপেক্ষায় ছিল, সেই ট্যাংকও হাসপাতালে আনা হয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের লোগো সংবলিত ট্যাংকটি হাসপাতাল এলাকায় ইতোমধ্যে বসানোর কাজ শেষ করেছে। এখন চলছে ট্যাংক থেকে পাইপ সংযোগের কাজ। স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের ভাষ্যমতে আগামী ১৫দিনের মধ্যে প্লান্টের কাজ শেষ হবে। দেশে গত বছর করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেক মানুষ। তখন দেশের সব হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেয়। বিশেষ করে হাইফ্লো অক্সিজেনের অভাবে এসময় প্রচুর রোগীকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। পার্বত্য জেলায় এই সঙ্কট আরো প্রবল হয়ে দেখা দেয়। দুর্গম অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে এসময় হিমশিম খেতে হয় হাইফ্লো অক্সিজেনের অভাবে। বিষয়টি উপলদ্ধি করতে পেরে গত বছর পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে তিন জেলাকে, জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৫০লক্ষ টাকা করে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য। বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে প্লান্ট বসানের কাজ গত এপ্রিল মাসেই শেষ হয়। পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন(এলএমও) স্থাপনের অনুমতি মেলায় জেলা পরিষদের অর্থ অক্সিজেন প্লান্ট বসানো কাজে আর ব্যবহৃত হয়নি। জেলা পরিষদের অর্থায়নে যেটা স্থাপন করা হতো, তার চাইতে এর কার্যক্ষমতা আরো বেশি ও উচ্চতর হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন দেয়া অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের কাজ গত এপ্রিল মাসে শুরু হয়। স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের সিনিয়র টেকনিশিয়ান সোহেল রানা বলেন, এতদিন আমরা ট্যাংকের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। হাসপাতালে ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। এখন ট্যাংক থেকে পাইপ সংযোগের কাজ চলছে। এসব কাজ আগামী ১৫দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর অক্সিজেন ব্যবহার শুরু হবে। রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, ইতোমধ্যে ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। টুকি-টাকি কাজ শেষে আগামী ১৫-২০দিন পর প্লান্ট শুরু করা হবে।