সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

করোনার সম্মুখ সারির যোদ্ধা আনসার কমান্ডার শহিদুল্লাহ সাহস ও সততার জন্য পেয়েছেন পুরস্কার

শাহজাহান সাজু:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

করোনা মহামারির সময়ে সম্মুখ সারির যোদ্ধা বলা হয় করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীকে। কিন্তু এর বাইরেও বেশ কিছু কর্মী আছে যাদেরও করোনা রোগীর সেবায় অবদান কম নয়। যে যার মত নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আন্তরিকভাবে। বিশেষ করে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকে তারাও কোনো না কোনভাবে এই সেবা দিচ্ছেন নিরলসভাবে। ঢাকার মুগদায় ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালটি করোনো ডেডিকেটেড। এখানে প্রথম থেকেই প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখানেই দায়িত্ব পালন করছেন অঙ্গীভূত আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহ। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিদিন তার দায়িত্ব পালনকালীন রোগীদের বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। করোনায় আক্রান্ত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে যখন সবার অজানা আতঙ্ক, সুস্থ সচ্ছল মানুষ যখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে পরিবারের গ-িতে, তখন সকল ভয় আর আতঙ্ককে পিছনে রেখে শহিদুল্লাহ ছুটে গেছেন করোনা রোগীর কাছে। যখনই কোনো রোগী হাসপাতালের সামনে এসেছে তখনি তিনি ছুটে গিয়েছেন তার পাশে। যতœসহ চেষ্টা করেছেন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে রোগীর যথাযথ সেবা প্রদানের বিষয়টি। পাশাপাশি নিজ দায়িত্বের প্রতিও থেকেছেন অবিচল। সততা আর সাহসের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন নিরলসভাবে। এর জন্য পুরষ্কৃতও হয়েছেন।
আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহ তাঁর সততা ও প্রশংসনীয় কাজের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক পুরুস্কৃত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র ও শহিদুল্লাহর কাছ থেকে জানা যায় ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ভোর ৫ টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কাভার্ডভ্যানে একটি এসিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করার সময়ে শহিদুল্লাহ’র নেতৃত্বে কয়েকজন আনসার সদস্য হাসপাতালের স্টাফ ওটি বয় আজিজুল হক মামুনকে আটক করে। মালামাল বের করার সময়ে শহিদুল্লাহ চ্যালেঞ্জ করে আজিজুল হকের কাছে জানতে চান মালামাল বের করার ছাড়পত্র আছে কি না? আজিজুল হক সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় এবং কোনা ছাড়পত্র না থাকায় তাকে সাথে সাথে আটক করা হয়। এসময় আজিজুল হকের অন্য ২ সাথী পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের পরিচালক সরকারি সম্পদ চুরির অভিযোগে আজিজুল হকসহ পালিয়ে যাওয়া অন্য দুই জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার মহিষখালি গ্রামে জন্ম নেয়া আব্দুল খালেকের পুত্র অঙ্গীভূত আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহ’র নেতৃত্বে এই ধরনের সাহসী ও প্রশংসনীয় কাজের বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি-অবগত হন। এরপর তিনি ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর শহিদুল্লাহসহ সেদিন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের সাথে মহা পরিচালক তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং সবাইকে নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। মহা-পরিচালক এ ধরনের প্রশংসনীয় ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য সকল আনসার সদ্যস্যের প্রতি আহবান জানান। সংশ্লিষ্টদের মতে শহিদুল্লাহর মত এরকম মানসিকতা নিয়ে যদি সকল আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করে তাহলে এই বিভাগের সম্মান দিন দিন বাড়বে এবং ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com