জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসাচ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)’র উদ্যোগে চা বাগানের রিপোটিং উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর বুধবার। মৌলভীবাজার শহরের হোটেল রেস্ট ইন-এ অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জানানো হয়, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)’র সহযোগীতায় সিআইপিআরবি’র মাধ্যমে ইউএন জয়েন্ট এসডিজি প্রোগ্রাম এর আওতায় সিলেট বিভাগের ২৫টি বাগানে চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চা বাগান ব্যবস্থাপনায় মাতৃস্বাস্থ্য, চা বাগানের বার্ষিক জরিপ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনকরণ, গর্ভবতী রেজিস্ট্রেশন ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক রিপোর্টিং এর সাথে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কমকর্তা/কর্মীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালায় ১৭টি চা বাগান থেকে ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেছেন। সঙ্গত কারণে, ভিন্নভিন্ন চা বাগান ব্যবস্থাপনায় ভিন্নভিন্ন পদ্ধতিতে রিপোটিং করা হয়- যা সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি করে। তাই, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে একই ধরনের টেমপ্লেট অনুসরণ করে রিপোর্টিং পদ্ধতির প্রচলন করাই ছিল এ প্রশিক্ষনের উদ্দেশ্য। সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোরশেদ কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন- সকল চা বাগান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি কার্যকরী রিপোটিং ব্যবস্থার প্রচলন করতে পারলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। এতে সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহযোগীতাএকান্ত প্রয়োজন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন- ইউএনএফপিএ’র পিপিআর ইউনিটের চীফ মোঃ মাহবুব-ই আলম, টেকনিক্যাল অফিসার ডা. অনিমেষ বিশ^াস, ফিল্ড অফিসার ডা. নূর-ই আলম সিদ্দিকী, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট অফিসার মোঃ মশিউর রহমান এবং সিআইপিআরবি’র আরসিএইচ ইউনিটের টিম লিডার ডা. আবু সাঈদ মোঃ আবদুল্লাহ। কর্মশালায় সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন সিআইপিআরবি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আলতাফুর রহমান। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৪টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা- আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনউইমেন) এর সহযোগীতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।