বিরামপুর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ভাল ফলন ও আশানুরূপ দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছে চাষী। উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, পাট আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি বিরামপুর উপজেলায় গত বছর ১৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভ হওয়ায় এবার কৃষকরা ১৯০ হেক্টর বা ১হাজার ৪২৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। আবাদকৃত পাটের মধ্যে রয়েছে ও-৯৭/৯৮, জিআরও ৫২৪ এবং রবি-১। প্রতি বিঘায় ৮/৯ মন হারে ফলন হিসাবে উপজেলায় এবার পাটের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৪০ টন। বিরামপুর হাটে পাট বিক্রি করতে আসা ভেলারপাড় গ্রামের পাট চাষী জাকির হোসেন ও মামুনুর রশিদ জানান, এবার তাদের জমিতে বিঘাপ্রতি ৮/৯ মন হারে পাটের ফলন হয়েছে। তারা ২ হাজার ৮শ’ টাকা মন দরে পাট বিক্রি করছেন। এছাড়া এলাকায় পাট কাঠির ব্যাপক চাহিদা ও দাম রয়েছে। পাট কাঠি সাধারণ বেড়া, জ্বালানী, পানের বরজে বেড়া, ছাউনী তৈরিসহ আনুসাংগিক কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রতি বিঘা জমির পাট কাঠি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিরামপুর বাজারের পাট আড়তদার পলাশ কুমার কু-ু জানান, এলাকায় আবাদকৃত পাটের মান ভাল। পাটকলে এই এলাকার পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একারণে পাট বিক্রিতে কোন অসুবিধা হয়না।