নিরাপদ নগর সূচকে আরও দুই ধাপ এগোলো ঢাকা। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তৈরি সূচকে বিশ্বের ৬০টি শহরের মধ্যে এ বছর ৫৪তম হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এর নিচে রয়েছে কেবল পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচি। এছাড়া ভারতের নয়াদিল্লি ৪৮ এবং মুম্বাই ৫০তম অবস্থানে। প্রতি দুই বছর পরপর নিরাপদ নগরের এই সূচক প্রকাশ করে। কোনো শহরের ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামো, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনা করে এই সূচক নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছর এর সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগ হয়েছে পরিবেশগত নিরাপত্তাও।
সম্প্রতি প্রকাশ করেছে তাদের নিরাপদ নগর সূচক ২০২১। এতে ১০০’র মধ্যে ৪৮ দশমিক ৯০ পয়েন্ট নিয়ে ৫৪তম হয়েছে ঢাকা। ডিজিটাল নিরাপত্তা সূচকে ঢাকা পেয়েছে ৩৯ পয়েন্ট, স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ৫০ দশমিক ৯০, অবকাঠামোতে ৪৯ দশমিক ৬০, ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ৪৬ দশমিক ৬০ এবং পরিবেশগত নিরাপত্তায় ৫৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট। এর আগে, ২০১৭ সালে নিরাপদ নগরীর তালিকায় নিচের দিক থেকে তৃতীয়, অর্থাৎ ৫৮তম হয়েছিল ঢাকা। ২০১৯ সালের সূচকে এর অবস্থান দাঁড়ায় ৫৬তম। সেই হিসাবে, প্রতিবার ধারাবাহিকভাবে দুই ধাপ করে এগিয়েছে ঢাকা মহানগরী। ২০২১ সালের তালিকায় প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান দখল করেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। তাদের সংগ্রহ ৮২ দশমিক ৪০ পয়েন্ট। শীর্ষ দশে থাকা বাকি শহরগুলো হলো- টরেন্টো, সিঙ্গাপুর, সিডনি, টোকিও, আমস্টারডাম, ওয়েলিংটন, হংকং, মেলবোর্ন ও স্টকহোম।
এছাড়া নিউইয়র্ক ১১তম, লন্ডন ১৫, প্যারিস ২৩, সিউল ২৪, সাংহাই ৩০, আবুধাবি ৩১, দুবাই ৩৫, ইস্তাম্বুল ৩৭ ও রিয়াদ রয়েছে ৪৯তম অবস্থানে। তালিকার একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের। নিরাপদ নগর সূচকে নিচের দিকে থাকা বাকি শহরগুলোর মধ্যে কাসাব্লাঙ্কা ৫৫তম, লাগোস ৫৬, কায়রো ৫৭, কারাকাস ৫৮ ও করাচি ৫৯তম স্থানে।