মারা যাওয়ার ৩৯ দিন পর অবশেষে সেই রানি স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে। গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের কাছে শিকড় এগ্রো কর্তৃপক্ষ রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু দাবি করে আবেদনের পর ব্যাপকভাবে প্রচার পায়। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানি। মৃত্যুর পর বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর তকমা পেয়েছে রানি। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভারে চারিগ্রাম এলাকার শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু সুফিয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানির গিনেজ বুকে স্থান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে। তিন দিন আগে রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে তারা। তিনি আরও বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তারা শুধু দেখেছেন হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করা হয়েছিল কি-না? তবে আশার কথা হলো, রিপোর্টে এমন কিছুই পায়নি তারা। এরপর রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্থান দেওয়া হয়। তবে আক্ষেপের বিষয় হলো স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই রানি মারা গেল। যদিও রানিকে আমরা পরিবারের একজনের মতোই ভালোবাসতাম। রানি বেঁচে থাকলে অনেক বেশি আনন্দ পেতাম।
প্রায় এক বছর আগে নওগাঁ থেকে গরুটি সংগ্রহ করে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এই বক্সার ভুট্টি জাতের খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি, দুটি দাঁতও ছিল। রানির বয়স হয়েছিল দুই বছর। গিনেজ বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। ৪ বছর বয়সী ওই গরু উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ছিল ৪০ কেজি।