রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

রাজধানীতে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে একসঙ্গে ৩ বান্ধবী উধাও

সাদেক মাহমুদ পাভেল:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১

রাজধানীর পল্লবীতে কলেজ পড়ুয়া তিন বান্ধবী বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, স্কুল সার্টিফিকেট ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজে পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরিবারের দাবি- বিদেশে নেওয়ার প্রলোভনে তাদেরকে নিয়ে গেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এ জন্য তারা বাসা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে। নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী হলেন- কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিসার মা মাহমুদা আক্তার শুক্রবার পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে যাদের বিবাদী করা হয়েছে, তারা হলেন- তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া। এর মধ্যে জিনিয়া টিকটকের পরিচিত মুখ। আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর। অভিযোগে মাহমুদা জানান, তার মেয়ে নিসা ও তার দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একযোগে বের হয়। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে গেছে।
জান্নাতের বড় বোন আইনজীবী কাজী রওশন দিল আফরোজ বলেন, আমার বোন ও তার বান্ধীদের বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এ জন্য তারা গতকাল প্ল্যানিং করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল সকালে সবাই কলেজের পোশাক পরে বের হয়েছে। সবার কাঁধে কলেজের ব্যাগ ছিল।
তাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
রওশন আরও বলেন, তরিকুল আমার বোনের সঙ্গে প্রায় সময় কথা বলত। তরিকুল তাকে (নিসা) বলত- সে অনেক বড় হ্যাকার। আর অনেক বড় কোম্পানির মালিক। আমেরিকায় লোক পাঠায়। আমার বোন নিসা বাসায় এসে আমাকে প্রায় সময় বলত- ‘আপু তরিকুল তোমাকে তার কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার পদে চাকরি দেবে’। এই আইনজীবী বলেন, ঘটনার পর আমরা তরিকুলের বাসায় গিয়ে জানতে পারি, সে ও তার বড় ভাই রকিবুল গতকাল থেকেই বাসায় নেই। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রওশন বলেন, জিনিয়া নামে তরিকুলের এক টিকটক বান্ধবী রয়েছে। জিনিয়া আমার ছোট বোন ও তার বান্ধবীদেরও পরিচিত। জিনিয়ার বাসায় গিয়েছিলাম ওদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে। কিন্তু জিনিয়া দেখা করেনি। তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। ‘আমরা আশঙ্কা করছি- তরিকুল ও জিনিয়ার পরিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা জানে আমার বোন ও তার বান্ধবীরা কোথায় আছে।’ পল্লবী থানার এসআই সজিব খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তরিকুলকে আটক করেছি। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com