কুমিল্লার দেবিদ্বারে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেবিদ্বার থানা পুলিশের তিনজন সদস্য, মুগসাইর গ্রামে একই বাড়িতে ১৫ জন এবং গুনাইঘর গ্রামে একজন রয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৬১ জন। মারা গেছেন সাত জন। যা কুমিল্লা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবীর জানান, বুধবার রাতে মোট ৪৯ জনের রিপোর্টে আসে। তার মধ্যে ইউসুফপুর ইউনিয়নের মুগসাইর গ্রামের আক্রান্তদের ১৫ জন সম্প্রতি করোনায় মৃত লিল মিয়ার স্বজন ও প্রতিবেশী। গত ৭ মে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে লিল মিয়া মারা যান। তিনি স্থানীয় এগারগ্রাম বাজারে ফল ব্যবসা করতেন। রবিবার তার পরিবার এবং প্রতিবেশী ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ, যার মধ্যে ১৫ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এছাড়া করোনায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেবিদ্বার থানার তিন পুলিশ সদস্য হয়েছেন। তাদের স্থানীয় একটি স্কুলে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণে অতিরিক্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় মুগসাইর গ্রাম ও এগারগ্রাম বাজার লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশ ও সেনবাহিনীর সহায়তায় পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে গ্রামটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান জানান, একজন ব্যক্তির সংক্রমণ থেকে ১৫ জন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও দেবিদ্বারে করোনার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে।
তিনি সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে আরও বলেন, এ সংকটময় সময়ে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থেকেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না।
এমআর/প্রিন্স