শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সারা দেশে ৯৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

৪৫ বছর পর দেখা, সন্দেশ মুখে তুলে দিলেন একে অপরকে 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১

বিদায়ে মাহবুব-সিরাজের চোখ ছলছল 

একবছর বা দু বছর নয়। দশকের পর দশক দেখা নেই। অঙ্কের হিসাবে পঁয়তাল্লিশ বছর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়, পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়… হয়তো সেই পুরানো স্মৃতির রসাস্বাধনে ছুটে গেছেন এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে। বলছি রাজনীতিতে রহস্যপুরুষ বলে পরিচিত সিরাজুল আলম খান ও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কথা।
লেখক ও রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ১৯৬২ সাল। ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেক্রেটারি শেখ ফজলুল হক মনি, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিরাজুল আলম খান, কালচারাল সেক্রেটারি মাহবুব তালুকদার। মাহবুব তালুকদার আবার ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার এবং ছাত্রলীগের একুশে সংকলনের সম্পাদক।
তাঁর সঙ্গে দুজনের ‘তুই সম্পর্ক, শেখ মনি আর সিরাজুল আলম খান। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁরা।
শেখ মনি আর নেই। মাহবুব আর সিরাজ পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার আগ্রহ দেখালেন। আমি হলাম অনুঘটক। বিকেলে (বুধবার) মাহবুব তালুকদার আমার বাসায় এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেলেন সিরাজুল আলম খানের কাছে। বন্ধুর জন্য বই আর ফল নিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ও কি মিষ্টি খায়? বললাম, সব খায়। ডায়াবেটিস নেই। পথে পড়ল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার। বন্ধুর জন্য কিনলেন সন্দেশ। সকালেই খবর দিয়েছিলাম, শেষ বিকেলে আমরা দুজন আসব। ঘরে ঢুকেই দুজন দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। ‘কীরে, কেমন আছিস’ বলে কথা শুরু। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দেখা হলো দুজনার। তৈরি হলো এক আবেগঘন পরিবেশ। দুজন দুজনের মুখে সন্দেশ তুলে দিলেন। তারপর ঘণ্টাখানেক আড্ডা, কফি পান, স্মৃতিচারণ। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা- তাঁদের বন্ধুদের আর কে কে বেঁচে আছেন, কোথায় আছেন। আমি একটা অসম্ভব সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলাম। জানি না, তাঁদের দুজনের আবার দেখা হবে কি না। দুজনেই আশি পেরিয়েছেন। ভগ্ন স্বাস্থ্য। ছলছল চোখে পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তাঁরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com