আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। নামিবিয়ার দুই ওপেনার যথাক্রমে ১১ বলে ৭ রান ও ১৩ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন। ২৯ রানে ২টি উইকেট হারায় নামিবিয়া। পাওয়ারপ্লেতে তারা সংগ্রহ করে ৩০ রান। ক্রেইগ উইলিয়ামস ও অধিনায়ক গারহার্ড এরাসমাসের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল নামিবিয়া। এরাসমাসকে শিকার করে ৩৯ রানের জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। ১৯ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন নামিবিয়ার অধিনায়ক। পরের ওভারেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামস।
সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ডেভিড ভিসা আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই অলরাউন্ডার ৭ বলে ৬ রান করে চামিকা করুণারতেœর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তারপরে কেবল জেজে স্মিত দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান, তিনি করেন ১৫ বলে ১২ রান। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নামিবিয়া অলআউট হয় ৯৬ রানে, ১৯.৩ ওভারে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে মাহিশ থিকশানা তিনটি এবং কুমারা ও হাসারাঙ্গা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৪ রানে বিদায় নেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। তিনি করেন ৮ বলে ১১ রান। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ফেরেন ৬ বলে ৫ রান করে। অভিজ্ঞ ব্যাটার দীনেশ চান্দিমাল ১২ বলে ৫ রান করে আউট হলে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এই বিপর্যয় সামাল দেন অভিষ্কা ফার্নান্দো ও ভানুকা রাজাপাকসা। দশম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে সামীনায় জীবন পান রাজাপাকসা, বার্নার্ড স্কল্টজের হাত গলে সেটি চার হয়ে যায়। সুযোগ পেয়েই রান তোলার গতি আরও বৃদ্ধি করেন রাজাপাকসা।
অভিষ্কা ও রাজাপাকসা শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। অভিষ্কা ২৮ বলে ৩০ রানে ও রাজাপাকসা ২৭ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৩৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল শ্রীলঙ্কা।