নরসিংদীর বেলাবতে নিম্নমানের পোল্ট্রি ফিডে দুর্বল হয়ে মারা যাচ্ছে মুরগী, কমে গেছে ডিম দেওয়া এবং পথে বসছে ঋণগ্রস্ত খামারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বেশ কয়েকটি লেয়ার ও পোল্ট্রি খামারে ঘটেছে এ ঘটনা। জানা গেছে বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে অবস্থিত মোঃ আশরাফুল ইসলামের ফিডের দোকান থেকে যোগান দেওয়া কম পুষ্টি সম্পন্ন নিম্নমানের ভেজাল যুক্ত মুরগীর খাদ্য যোগান দেওয়া হয়। যার কারণে লেয়ার মুরগী গুলো রোগাক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ডিম দেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এসব খাবারের কারণে মুরগীগুলোর পাখনা খুলে পড়ে যাচ্ছে, নিথর হয়ে যাচ্ছে এদের দেহ। ডিম উৎপাদন শূন্যের কোঠায়। জানা গেছে মুরগীর খাদ্যগুলো সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নিজস্ব ফেক্টরীতে উৎপাদিত। ট্যানারির বর্জ্য হতে উৎপাদিত এসব খাবারে মুরগীর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, লাইসেন, লিকোনিন না থাকায় মুরগী রোগাটে হয়ে মারা যাচ্ছে। কোম্পানির বরাত দিয়ে আশরাফুল খামারিদের কাছে এগুলো বিক্রি করে অপেক্ষাকৃত কম দামে। খামারীরা তার নিকট হতে আশ্বস্ত হয়ে এসব কিনে এখন পথে বসার উপক্রম। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ডিম উৎপাদন শূন্যে নেমে এসেছে। ভাবলার কিরন খন্দকার বলেন, আমাদেরকে এসব লোজ খাবার দেওয়ার ফলে আমার খামারের ৩ হাজার মুরগী আজ মরণাপন্ন, ডিম দেওয়া বন্ধ প্রায়। আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি পথে বসে গেছি। চন্দন জানান, আমার মোরগের অবস্থা শোচনীয়, ডিম পাড়া বন্ধ। আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। হালিম জানায়, এমনিতেই মোরগী ও ডিম উৎপাদন শূন্যে গেলেও লেবার খরচ, মেডিসিন, খাবার সবকিছুতে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আমরা এর প্রতিকার চাই। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেকটি খামারের আশেপাশে মুরগীর পাখনা পড়ে আছে। খাঁচাগুলো ডিমশূণ্য। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ফিড ডিলার আশরাফুলকে বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি। এ ব্যাপাওে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরীফ বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এমনটি হয়ে থাকলে এবং অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।