টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। মঙ্গলবার ৫ উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর ফলে গ্রুপ ‘২’-এর শীর্ষে চলে গেলেন বাবর আজমরা। গত মঙ্গলবার জয়ের ফলে দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে (+০.৭৩৮ নেট রানরেট) সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তান। এক ম্যাচে পয়েন্ট দুই, নেট রানরেট +৬.৫০০। তৃতীয় স্থানে আছে নামিবিয়া। বুধবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবে নামিবিয়া। চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ভারত ও স্কটল্যান্ড। তিনটি দলই সুপার ১২-এ নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। নেট রানরেটের বিচারে চতুর্থ স্থানে আছেন কিউয়িরা (-০.৫৩২)। ভারত ও স্কটল্যান্ডের নেট রানরেট যথাক্রমে -০.৯৭৩ এবং -৬.৫০০। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জয়ের ফলে ভারতের সুবিধা হল নাকি অসুবিধা?
১) পাকিস্তানের জয়ের ফলে মোটামুটিভাবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত বাবরদের। কারণ গ্রুপের দুই শক্তিশালী দল- ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা হয়ে গিয়েছে। বাকি আছে আফগানিস্তান, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড। যে তিন ম্যাচে জেতার কথা পাকিস্তান। অত্যন্ত খাতায় কলমে ফেভারিট বিচার করলে সেটাই হওয়ার কথা। সেটা যদি হয়, তাহলে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে যাবে পাকিস্তান। নিয়ম মোতাবেক বাকি পাঁচটি দল একটি স্থানের জন্য লড়াই করবে। ধারেভারে লড়াইটা মূলত হবে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে। সেক্ষেত্রে আগামী ৩১ অক্টোবরের ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার-ফাইনাল হতে চলেছে। ওই ম্যাচে যদি ভারত জিতে যায়, তাহলে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিরাট কোহলিদের। কারণ ধারেভারে আফগানিস্তান, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে যাওয়ার কথা ভারতের। নিউজিল্যান্ড সেক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে হারলে কার্যত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে।
২) যদি মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ড জিতে যেত, সেক্ষেত্রে আবার গ্রুপ ‘২’-এর লড়াই জমে যেত। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দু’দলের দু’পয়েন্ট হতো। তখন প্রথম ও দ্বিতীয়- দুটি স্থানের জন্যই লড়াই হতো। তবে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার-ফাইনালই থাকত ভারতের জন্য। কারণ ওই ম্যাচ হারলে টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকেই যেত ভারত।
ফলে খাতায় কলমে পাকিস্তান জয়ের ফলে ভারতের তেমন কোনো লাভ বা ক্ষতি হলো না। কারণ নিউজিল্যান্ড ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার-ফাইনালই হতো বিরাটদের। এখনো সেটাই হচ্ছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস