কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে হাতিয়া বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র,উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির, ইন্সপেক্টর তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহুল আমিন,উলিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মতি শিউলি, হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শায়খুল ইসলাম (নয়া), হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি.এম আবুল হোসেন, হাতিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মিজানুর রহমান প্রমূখ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোরে পাকিস্তানি বাহিনীর মর্টার শেল আর বন্দুকের অবিরাম গুলিবর্ষণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে উপজেলার দাগারকুটিসহ আশপাশের গ্রামগুলো। ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে গ্রামবাসী কিছু বুঝে ওঠার আগেই হানাদার বাহিনী এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে লুটপাট শুরু করে। উদ্ভ্রান্ত মানুষ ঝোপজঙ্গলে পালিয়ে সংলগ্ন ব্রহ্মপূত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এসব মানুষকে খুঁজে বের করে হাত-পা বেঁধে এক দিনে ৬৯৭ জন হত্যা করা হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয় হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর, দাগারকুটি, হাতিয়া বকসি, রামখানা ও নয়াদাড়া গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি।