রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সরকারের কাছে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি : জামায়াত আমির মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে হবে স্পেশাল লাউঞ্জ: আসিফ নজরুল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে আস্থা নেই বাইডেনের বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে রাষ্ট্রপতির সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ গণঅভ্যুত্থান-বিপ্লবের মূল স্পিরিট ব্যাহতকারীদের সরানোর কথা বলেছি সড়কে ১৫ ঠিকাদারের রাজত্ব শ্রমিক অসন্তোষ দূর হলে আরও মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবো : আহসান খান চৌধুরী শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন: রিজভী শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

সরকারি হাইস্কুল জ্যেষ্ঠতা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

সরকারি হাইস্কুলে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের জুনিয়র করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে শিক্ষকদেরই একটি অংশ। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ কর্তৃক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রদান করতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত মতামত প্রকাশের পরপরই আদালতে মামলা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি খারিজ হলে উচ্চ আদালতে আপিল মামলা করা হয়। যার নম্বর A.A.T Appeal No. 04/2021। যা চলমান। আপিল মামলা চলমান থাকায় জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো স্কুলে পাঠাননি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-পিইসি এ বছরের ৩০ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে ১০ম গ্রেডের সহকারী শিক্ষক হতে সিনিয়র শিক্ষক পদে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান করে। যার স্মারক নং ৮০.০০.০০০০.১০৯.১২.০০৩.২০২১-৬৪। ওই স্মারকে সারাদেশে পাঁচ হাজার চারশ’৫২ জনের পদোন্নতি দেওয়া হয়। সিনিয়র শিক্ষক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে আটটি নির্দেশনার মধ্যে ৫ নম্বর ক্রমিকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তারপরও সিনিয়র শিক্ষকদের একটি অংশ প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বরকে জ্যেষ্ঠতার ক্রমিক দাবি করে বেআইনি আবদার করছেন। অথচ গত ১৫ জুলাই সিনিয়র শিক্ষক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনটি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত গেজেটেও ৫ নম্বর ক্রমিকে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ আছে। সেখানেও বলা হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেবল তাই না, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পিডিএস-এ সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে; সেখানেও যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশ ও আদালতকে অবমাননা করে জ্যেষ্ঠতা দাবি ও বাস্তবায়ন করা চরম ধৃষ্টতা, যা আইনের পরিপন্থি বলে জানিয়েছেন পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা। একই মন্তব্য করেছেন কয়েকজন শিক্ষাবিদও। তাছাড়া, ১৯৯১ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী মাধ্যমিকে জুনিয়র শিক্ষক বলে কোনো পদ নেই। সকলেই সহকারী শিক্ষক ও বেতন গ্রেড ১০ম। ২০০৪ সালের ২২ মে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) দের বেতন গ্রেড দশমে উন্নীতকরণ করা হয় এবং সেখানেও প্রারম্ভিক বেতন স্কেল ১০ম উল্লেখ করা রয়েছে। এ অবস্থায় কিছু সিনিয়র শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ক্রমিক নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা স্ব স্ব প্রধান শিক্ষকদের অহেতুক চাপ প্রয়োগ করছেন তাদের নাম ক্রমিকের নম্বরে উপরে উঠানোর জন্য। তাদের বেআইনি চাপে পড়ে ইতিমধ্যে কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ক্রমিক নম্বরের হেরফের করেছেন। আদালতে আপিল মামলা চলা অবস্থায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো ধরনের পত্র ছাড়াই এটি করে ওইসব প্রধান শিক্ষক একপেশে আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। কেবল তাই না তারা আদালত অবমাননার মতো কাজ করেছেন। এসব প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে প্রকৃত তথ্য গোপন করে অন্যায় আবদার পূরণে শিক্ষকদের একটি অংশ সহায়তা চাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো স্কুল থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, সিনিয়রিটি প্রদানের বিষয়টি স্থানীয় কোনো বিষয় না। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এটি করে থাকেন। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিবেশ অশান্ত করা কোনোভাবেই সমীচিন না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের কাছে জানতে একাধিকবার কল করলে তিনি তা কেটে দেন। এসএমএস করে বিষয়টি জানালেও কোনো সাড়া দেননি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন,‘আগের গ্রেডেশন অনুযায়ী সিনিয়রিটি থাকবে। মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত তালিকা চাওয়ার পর আমরা তা দিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ নেই। তারপরও কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে আর আমাদের কাছে অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com